পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ে সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
শহিদুল ইসলাম, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: নানা জল্পনা কল্পনার অবশেষে পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ে নীতি সহয়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের ধারনকৃত অতিরিক্ত বিনিয়োগ (এক্সপোজার) সমন্বয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছুটা নমনীয় হলেও এই মুহুর্তে সময়সীমা বাড়ছে না।
তবে কোনো প্রকার শেয়ার বিক্রি না করেই, আইনি সময়সীমার মধ্যে নির্ধারিত মাত্রায় নামিয়ে আনার জন্যবাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কিছু নীতি সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহনের ফলে ব্যাংকগুলোর ওপর কোনো সেল প্রেসার সৃষ্টি হবে না এবং বাধ্য হয়ে কোনো ধরনের সেল করার কোনো প্রয়োজন হবে না। আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় বাড়ানো হবে না।
এক্সপোজারের সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার ও সহকারী মুখপাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মোকাম্মেল জানান, সময় বাড়াতে হলে আইন সংশোধন করতে হবে। যা এ মূহুর্ত্বে সম্ভব নয়। অর্থাৎ এক্সপোজারের সময় বাড়ানো হচ্ছে না। এছাড়া এক্সপোজারের সংজ্ঞা নির্ধারণে আইন যা বলা রয়েছে আপাতত তাই থাকছে বলে জানান তিনি।
তিনি সংবাদিকদের জানান, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর এক্সপোজারের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সহায়তা দিয়েছে। এক্ষেত্রে এক্সপোজারের উপাদান বা কমপোনেন্ট হিসাবায়ন কিছুটা পুন:বিন্যাসসহ কতিপয় অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের সাবসিডিয়ারির মূলধন বৃদ্ধি করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে,পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর ধারণকৃত অতিরিক্ত বিনিয়োগ (এক্সপোজার) কোনো প্রকার শেয়ার বিক্রয়না করে আইনি সময় সীমার মধ্যে নির্ধারিত মাত্রায় নামিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কিছু নীতি সহয়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিনিয়োগের (এক্সপোজার) উপাদান হিসাবের ক্ষেত্রে পুনর্বিন্যাসসহ কতিপয় অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে সাবসিডিয়ারির মূলধন বৃদ্ধির সুযোগ দেওয়া হবে। এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ব্যাংকগুলোর ওপর কোনো বিক্রয় চাপ সৃষ্টি হবে না এবং এ ধরনের বিক্রয় করার কোনো প্রয়োজন হবে না বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
প্রসঙ্গত, ব্যাংক কোম্পানির সংশোধিত আইন অনুযায়ী পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে কিছু কিছু ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ রয়েছে। সেটি সমন্বয় করতে আইন অনুযায়ী সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে নীতিগত সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পুঁজিবাজারের টানা ধস দেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। গত কয়েকদিনে পতনের ভয়বহতা এত ছিল যে এক্সপোজারের সময় বাড়ানোর বিধি-বিধানের বাধ্যবাধকতার কারণে এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।