dse lago curentশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীল বাজার পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে পড়ছে বিনিয়োগকারীরা। গত এক মাস ধরে নেতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। এই বাজারে খরা কিছুতেই যেন পিছু ছাড়ছে না।  ধারাবাহিক পতনে সূচক লেনদেনের পাশাপাশি হ্রাস পেয়েছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর।  চলমান এ পরিস্থিতিতে পুঁজি হারিয়ে আবারো পথে বসতে চলেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, শেয়ার বাজার একটা স্পর্শকাতর বাজার। দেশে যেকোনো ঘটনা ঘটলেই তা পুঁজিবাজারের ওপর প্রভাব ফেলে।  বর্তমান বাজার পরিাস্থতিতে বিনিয়োগকারীদের বাজারের প্রতি আত্মবিশ্বাসের অভাব, স্থায়ী বিনিয়োগ না হওয়া এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সম্পূর্ণ নীরব ও নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে লেনদেন ও বাজার মূলধন কমেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়াও ব্যাংকের এক্সপ্রোজাল লিমিট বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় দরপতনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়ী করছে বিনিয়োগকারীরা। অন্যদিকে গত ১১ কার্যদিবস ধরে পতন অব্যাহত আছে দেশের পুঁজিবাজারে। এরই ধারবাহিকতায় সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্যসূচক কমেছে। দরপতন হয়েছে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের। তবে উভয় বাজারে আগের দিনের চেয়ে সামান্য বেড়েছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমান।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত চার কার্যদিবস ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের পতন অব্যাহত আছে। গত ২১ এপ্রিল ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৮ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ১৬৭ কোটি।

অর্থাৎ টানা চার কার্যদিবসে বাজার মূলধন ৩ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা উধাও হয়ে গেছে। মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৯ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ২৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া ডিএস৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬৪৭ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৩৪৩ কোটি টাকা। যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১২ কোটি বেশি। সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৩১ কোটি টাকা। ডিএসইতে মোট ৩১১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটেরর লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১৯১টির এবং অপরিবর্তত আছে ৪৮টি প্রতিষ্ঠনের শেয়ার দর।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ৬১ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে ৯৬৩ পয়েন্টে, সিএসই৩০ সূচক ২৫ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ২০০ পয়েন্টে,

সিএসপিআই সূচক ১০১ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ১৯২ পয়েন্টে এবং সিএসআই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে ৯১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে টাকার অংকে মোট লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩৭টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ৫৭টির, কমেছে ১৫৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৬টির শেয়ার দর।