central pharmaশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ার দর রোববার ৯ দশমিক ২৯ শতাংশ কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ডিএসই সুত্রে  জানা গেছে। দিন শেষে দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে চলে আসে কোম্পানিটি। বাজারসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রথমার্ধে মুনাফা কমার কারণেই কোম্পানিটির শেয়ারদর কমছে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, গত বছরের আগস্ট থেকেই সেন্ট্রাল ফার্মার শেয়ারদর নিম্নমুখী। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে শেয়ারটির দর ছিল ৩০ টাকার উপরে, চলতি মাসের শুরুর দিকে যা ২০ টাকার ঘরে অবস্থান করছিল। ডিএসইতে গতকাল সর্বশেষ ১৬ টাকা ৬০ পয়সায় সেন্ট্রাল ফার্মার শেয়ার হাতবদল হয়। গত এক বছরে এ শেয়ারের দর ১৬ থেকে ৩৩ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় সেন্ট্রাল ফার্মা। গেল হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৭৫ পয়সা। ২০১৪ সালে ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ারের পাশাপাশি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশও দেয় এ কোম্পানি। তখন এর ইপিএস ছিল ২ টাকা ১৪ পয়সা।

চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) সেন্ট্রাল ফার্মার ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৬১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৮৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৮৮ পয়সা।

জানা গেছে, ২০ কোটি টাকার বেশি অনাদায়ী মূল্যসংযোজন কর (মূসক) নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে টানাপড়েনে আছে কোম্পানিটি। এনবিআরের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে হেরে গেলে রিজার্ভের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের সমান অর্থ বকেয়া মূসক বাবদ পরিশোধ করতে হতে পারে কোম্পানিটিকে।

২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে আসা সেন্ট্রাল ফার্মার অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি, পরিশোধিত মূলধন ৯৪ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার ও রিজার্ভ ৫৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালক ৩৮ দশমিক ৯১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৩ দশমিক ৭৯ ও বাকি ৪৭ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত মুনাফা ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ১০ দশমিক ৯২, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত মুনাফার ভিত্তিতে যা ১৩ দশমিক ৬১।