ডিভিডেন্ড ঘোষনার আগেই দরপতনে রিজেন্ট টেক্সটাইল
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিজেন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারদর ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে। পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে দরপতনের তালিকায় ৯ নম্বরে চলে আসে ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি। তবে ডিভিডেন্ড ঘোষনার আগে দরপতনের তালিকায় চলে যাওয়ায় এ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে দু:চিন্তায় পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা কোম্পানির ডিভিডেন্ড নিয়ে হতাশায় ভুগছেন।
২৭ এপ্রিল বেলা সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সভায় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে লভ্যাংশ ও বার্ষিক সাধারণ সভা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন কোম্পানিটির পরিচালকরা।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে গত বছর শেয়ারবাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা পুঁজি সংগ্রহ করেছে বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট টেক্সটাইল। আইপিওর পর কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৬০ থেকে ১১০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়।
স্টক এক্সচেঞ্জ প্রকাশিত উপাত্ত অনুসারে, ২০১৫ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে রিজেন্ট টেক্সটাইলের নিট মুনাফা হয়েছে ৯ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার টাকা, ২০১৪ সালের একই সময়ে যা ছিল ১২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে নিট মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রথম নয় মাসে আইপিও-পরবর্তী শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৫৭ পয়সা।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে রিজেন্ট টেক্সটাইলের নিট মুনাফা ছিল ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা, আইপিও-পরবর্তী ইপিএস ১ টাকা ৩৫ পয়সা। পুনর্মূল্যায়নজনিত উদ্বৃত্তসহ আইপিও-পরবর্তী শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ২৯ টাকা ৭০ পয়সা।
ডিএসইতে বৃহস্পতিবার রিজেন্ট টেক্সটাইল শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ১৪ টাকা ৯০ পয়সা। গত ডিসেম্বরে লেনদেন শুরুর পর শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ছিল ৩১ টাকা ও সর্বনিম্ন ১৪ টাকা ৫০ পয়সা।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রাথমিক শেয়ার বরাদ্দের আবেদন গ্রহণ করে রিজেন্ট টেক্সটাইল। আইপিওতে কোম্পানির চাহিদার তুলনায় প্রায় ছয় গুণ আবেদন জমা পড়ে। ১৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ারের ইস্যুমূল্য ছিল ২৫ টাকা।
প্রসপেক্টাসে আইপিওর ৬৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ অর্থ কোম্পানির কারখানা সংস্কার ও সম্প্রসারণে ব্যয় করার ঘোষণা দেয় কোম্পানি। নতুন তৈরি পোশাক প্রকল্পে ৩১ দশমিক ৮৮ শতাংশ অর্থ এবং বাকি ২ দশমিক ১৫ শতাংশ ব্যয় হয় আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করে, সম্প্রসারণ ও সংস্কার পরিকল্পনা সফল হলে ২০১৭ সালে তাদের উত্পাদন সক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণে উন্নীত হবে এবং এতে কোম্পানির মুনাফা বাড়বে।