ডিসিসিআই ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত করার প্রস্তাব
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হতে প্রাপ্ত লভ্যাংশে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে। বর্তমানে ২৫ হাজার টাকা লভ্যাংশ পেলে বিনিয়োগকারীকে কর দিতে হয়। প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআরের সঙ্গে ডিসিসিআইয়ের বৈঠক।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭ উপলক্ষে আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় ডিসিসিআইয়ের সভাপতি হোসেন খালেদ এসব প্রস্তুাব তুলে ধরেন। আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। আলোচনা সভায় ডিসিসিআইয়ের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বাজেট প্রস্তাবে ডিসিসিআই, মার্চেন্ট ব্যাংক, তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ব্রোকারেজ হাউজের কর হার কমানোর দাবি জানানো হয়েছে। এর মধ্যে মার্চেন্ট ব্যাংকের করের হার সাড়ে ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ, তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট করের হার সাড়ে ২৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ এবং ব্রোকারেজ হাউজের কর হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
অন্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে আয়কর, আইন ও বিধি সংক্রান্ত ১৫টি; আয়কর সংক্রান্ত ১৫টি; আমদানি ও সম্পূরক শুল্ক নীতি, আইন ও বিধি সংক্রান্ত ৮টি;আমদানি ও সম্পূরক শুল্ক সংক্রান্ত ৪৮টি;মূল্য সংযোজন কর নীতি, আইন ও বিধি সংক্রান্ত ৩টি এবং মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত ৩টি।
ডিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মহিলা ও বয়স্ক (৬৫ বৎসর) করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা এবং প্রতিবন্ধী করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৭৫ টাকা টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনটি।
এ সময় হোসেন খালেদ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত ‘প্যাকেজ ভ্যাট’ নির্ধারণের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, জিডিপিতে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) অবদান রাখে ৩০ শতাংশের বেশি। বেসরকারি খাতের ৭৫ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ খাত সংক্রান্ত। দেশের ৭৫ শতাংশ কর্মসংস্থান হয় এসএমই খাতের মাধ্যমে এবং শিল্প খাতে কর্মসংস্থান ৮০ শতাংশই এসএমই খাতভিত্তিক।
এছাড়া অন্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে আয়কর, আইন ও বিধি সংক্রান্ত ১৫টি; আয়কর সংক্রান্ত ১৫টি; আমদানি ও সম্পূরক শুল্ক নীতি, আইন ও বিধি সংক্রান্ত ৮টি; আমদানি ও সম্পূরক শুল্ক সংক্রান্ত ৪৮টি; মূল্য সংযোজন কর নীতি, আইন ও বিধি সংক্রান্ত ৩টি এবং মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত ৩টি।