আজ হাইডেলবার্গ ও আরএকে সিরামিকসের এজিএম
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্ট ও সিরামিকস খাতের কোম্পানি করবে আরএকে সিরামিকস বাংলাদেশ লিমিটেডের (এজিএম) আজ সকালে শেয়ারহোল্ডারদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড: বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জের তারাবতে অবস্থিত কারখানা প্রাঙ্গণে সিমেন্ট কোম্পানিটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। রেকর্ড ডেট ছিল ২১ মার্চ। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
গত বছর তারা নিট ১৪০ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা মুনাফা করেছে, শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৮১ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১০২ টাকা ২৭ পয়সা। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি ৩৮০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে বছর ইপিএস ছিল ২০ টাকা ৮৮ পয়সা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার সর্বশেষ ৫৪০ টাকা ৬০ পয়সায় হাইডেলবার্গের শেয়ার কেনাবেচা হয়। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৪৪০ থেকে ৬৮৫ টাকার মধ্যে ওঠনামা করে। অন্যদিকে আরএকে সিরামিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেড: রাজধানীর পূর্বাচল লিংক রোডে অবস্থিত বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে সকাল ১০টায় এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। রেকর্ড ডেট ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করে এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। সমাপ্ত হিসাব বছরে এর নিট মুনাফা হয়েছে ১০৯ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা, শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩ টাকা ২৫ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৭ টাকা ৯৩ পয়সা।
২০১৪ সালের জন্যও শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় আরএকে সিরামিকস। সে বছর তাদের ইপিএস ছিল ১২ পয়সা, ২০১৩ সালে যা ছিল ২ টাকা ২৩ পয়সা। ডিএসইতে মঙ্গলবার সর্বশেষ ৬৩ টাকা ৪০ পয়সায় আরএকে সিরামিকসের শেয়ার লেনদেন হয়। গত এক বছরে এর দর ৪৬ থেকে ৮৩ টাকার মধ্যে ওঠনামা করে।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া আরএকে সিরামিকসের অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩৩৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৩০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানির মোট শেয়ারের ৭৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, বিদেশী বিনিয়োগকারী দশমিক ৫২ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে বাকি ১২ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ার।