অর্থ মন্ত্রণালয়ে ৬ বিষয়ে জানতে বিএসইসিকে চিঠি দিয়েছে
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: আইপিও ইস্যুতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়। অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বিএসইসি ও বিআইসিএম শাখা থেকে ২৯ মার্চ উপ সচিব মো: মতিউর রহমানের স্বাক্ষর করা এক চিঠি থেকে এসব তথ্য জানতে পেরেছে বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে।
চিঠি সূত্রে জানা যায়, শেয়ার কারসাজির ঘটনায় সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততা পাওয়া সত্ত্বেও এ বিষয়ে তদন্ত কেন এগোয়নি তার জন্য মন্তব্য চাওয়া হয়েছে বিএসইর কাছে।এছাড়া জেএমআই সিরিঞ্জের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ঘটনায় কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কেনো তার বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, পুঁজিবাজার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি ও ৭ ফেব্রুয়ারি দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের উপর মন্তব্য প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল। সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত ৬টি বিষয়ের উপর বিএসইসি’র কাছে মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিষয়গুলো হল:- সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারবাজারে নতুন যে সব কোম্পানি তালিকাভূক্ত হয়েছে, কিছু দিন যেতে না যেতেই অনেক কোম্পানির শেয়ারের দাম আইপিওর দামের চেয়ে নিচে নেমে গেছে অর্থাৎ অফার মূল্যের নিচে নেমে গেছে, ফলে এসব কোম্পানির মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
২০১০ সালের পর ৭০ টির বেশি কোম্পানি/মিউচ্যুয়াল ফান্ড শেয়ার বাজারে এলেও আস্থাহীনতার কারণে বাজারের উন্নতি হয়নি। ফলে ৫ ডিসেম্বর যেখানে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা সেখানে ২০১৫ সালে দৈনিক গড় লেনদেন ৪২২ কোটি টাকা।
স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন ইত্যাদি কাঠামো ও আইনগত পরিবর্তন হয়েছে। তবে মানহীন কিছু কোম্পানির শেয়ার বাজারে তালিকাভূক্তি এবং কারসাজি ও আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে নমনীয়তার কারণে সংস্থাটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের পরিপূর্ন আস্থা ফেরেনি।
সিভিও প্রেট্রোকেমিক্যালের শেয়ার কারসাজির ঘটনায় বিডিবিএল ও সিভিওর চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও তদন্ত এগোয়নি। জেএমআই সিরিঞ্জেস কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ঘটনার নেপথ্যের কারও বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
অলটেক্স কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন করে কারসাজি হলেও এখনও কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উপরোক্ত বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।