divident lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কিছু কিছু কোম্পানি ক্যাটাগরি ধরে রাখতে নামমাত্রা ডিভিডেন্ড দিচ্ছেন। আর বঞ্চিত হচ্ছেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারা। কোম্পানির ঘোষিত লভ্যাংশ পাওয়ার মাধ্যমে লোকসান কাটানোর প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না বিনিয়োগকারীদের। বছর শেষে ভাল মুনাফা করলেও কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের চাহিদা মতো লভ্যাংশ ঘোষণা না দেয়ার কারণে বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমেছে।

একাধিক বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, লভ্যাংশ দেয়ার নাম করে ক্যাটাগরি টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে কোম্পানিগুলো। যার কারণে রিজার্ভ বাড়ানোর নাম করে কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ কম ঘোষণা করছে। এটা এক ধরনের প্রতারনা বলে তারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যানুসারে সম্প্রতি লভ্যাংশ ঘোষণা করা বেশিরভাগ শেয়ারের দর কমেছে। লভ্যাংশ প্রস্তাবের দিনই এসব শেয়ারের দর কমতে দেখা গেছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সম্প্রতি ৯টি কোম্পানি ২০১৫ সালের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এই কোম্পানিগুলো হচ্ছে- পূবালী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, এনসিসি ব্যাংক, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, ট্রাস্ট ব্যাংক, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, এপেক্স ফুটওয়্যার ও কেডিএস এক্সেসরিজ। কোম্পানিগুলোর মধ্যে কেডিএস এক্সেসরিজ এবং এপেক্স ফুটওয়্যার ছাড়া লভ্যাংশ প্রস্তাবের দিন বাকি সবগুলো প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর কমেছে।

এই বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক মোঃ রকিবুর রহমান বলেন, কোম্পানি তার অবস্থা বিবেচনা করে লভ্যাংশ দেবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে তারা যদি বিনিয়োগকারীদের কথা মাথায় রেখে একটু বাড়িয়ে লভ্যাংশ দেন, তবে তারা উপকৃত হবে।

কারণ বিনিয়োগকারীদের অবস্থা এখন খুবই করুণ। প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানি যদি ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেয়, তখন সেই প্রতিষ্ঠানের ঠাঁই হয় ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। অন্যদিকে বছর শেষে ১০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দিলে সেই কোম্পানি ‘এ’ ক্যাটাগরির স্বীকৃতি পায়। আর যদি কোন লভ্যাংশ না দেয় তবে সে কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরি বিবেচিত হয়।

জানা গেছে, কোম্পানি তালিকাভুক্তির পর থেকে প্রথম এজিএম পর্যন্ত ‘এন’ ক্যাটাগরিতে থাকে। প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজারে বি এবং জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম। যে কারণে কোম্পানিগুলো ১০ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে লভ্যাংশ দিয়ে ক্যাটাগরি বাঁচিয়ে রাখতে চায়।