dragonআফজাল হোসেন  লাভলু , শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম,ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ড্রাগন সোয়েটারের লেনদেনের শুরুর দিন শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়েছে। আজ লেনদেনের শুরুতে ২০ টাকা শুরু হলে এক পর্যায়ে ২২ টাকা পর্যন্ত উঠে। তবে দিন শেষে ১৮.৬০ পর্যন্ত লেনদেন হয়।কোম্পানিটির লেনদেনের প্রথম কার্যদিবসে বিক্রয় উপযোগী শেয়ারের প্রায় ৪৩ শতাংশ হাতবদল হয়েছে। ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ড্রাগন সোয়েটারের আইপিও পাওয়া মনির হোসেন নামে এক বিনিয়োগকারী বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। বাজার কোন দিকে যায় বুঝা যাচ্ছে না। তাই আপিও পাওয়া শেয়ার বিক্রি করে দিলাম।

জানা যায়, আইপিওতে কোনো প্রকার প্রিমিয়াম ছাড়া ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৪ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ৪০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে কোম্পানিটি। যার মার্কেট লট নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫০০টি শেয়ারে।

এদিকে, আজ লেনদেন শুরুর প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সর্বোচ্চ ২২.৯০ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ১৮ টাকায় লেনদেন হয়। এসময় কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ১৮.৬০ টাকায় লেনদেন হয়। এসময় কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৮৬ শতাংশ বা ৮.৬ টাকা।

আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির প্রায় ১ কোটি ৭১ লাখ ২ হাজার ৩৫৮টি শেয়ার হাতবদল হয়। যা কোম্পানিটির সর্বমোট শেয়ারের ৪২.৫ শতাংশ। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৪৬৯ টি শেয়ার হাতবদল হয়।

সূত্র জানায়, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৩৩ টাকা। যা আইপিও পূববর্তী ছিলো ০.৫৪ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ০.২১ টাকা বা ৩৮.৮০ শতাংশ। এছাড়া গত ৯ মাসে (জানুয়ারী-সেপ্টেম্বর ১৫) ড্রাগণ শোয়টারের আইপিও পরবর্তী শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৮০ টাকা।

যা আইপিও পূববর্তী ছিলো ১.৩৪ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির আয় কমেছে ০.৭৪ টাকা এবং ৫৫.২২ শতাংশ। অন্যদিকে, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর পরিশোধের মুনাফা হয়েছে ৩ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার। আর নয় মাসে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সমাপ্ত বছরে শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২০.১৪ টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, সাধারণত লেনদেন শুরুর প্রথম কার্যদিবসেই আইপিও শেয়ার বিজয়ীরা শেয়ার বিক্রয় করতে চেষ্ঠা করে। যার ধারাবাহিকতায় প্রথম কার্যদিবসে নতুন কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রয় চাপও বাড়ে। পরবর্তীতে কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক অবস্থার সাথে শেয়ার দরে পরিবর্তন আসে।