তিতাস গাসে অনিয়ম, হদিস নেই ৩ হাজার কোটি টাকার
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডে গত চার বছরে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি অনিয়ম হয়েছে। মঙ্গলবার সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। সংসদ ভবনে কমিটির এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, তিতাস গ্যাস তাদের বিভিন্ন কাজে ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে ২০১৪-১৫ অর্থ বছর পর্যন্ত ২৩৩টি নিরীক্ষা (অডিট) আপত্তির কথা জানায়। এর সঙ্গে জড়িত টাকার পরিমাণ তিন হাজার ১৩৮ কোটি ৩৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে ২১টি আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কমিটি দ্রুত দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছে।
কার্যপত্র থেকে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি অডিট আপত্তি ছিল ২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ অর্থবছরের। ওই দুই বছর মোট ৭৪টি অডিট আপত্তির সঙ্গে জড়িত টাকার অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৩৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া ১৯৭২-৭৫ থেকে ২০০৯-১০ পর্যন্ত ৩৭২টি অডিট আপত্তি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। এর সঙ্গে জড়িত টাকার পরিমাণ ছয় হাজার ৪৩৮ কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার টাকা।
কমিটির সভাপতি শওকত আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও আবদুর রউফ অংশ নেন। সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবউশন কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রম এবং কোম্পানির বিগত পাঁচ বছরের অডিট আপত্তি সম্পর্কে আলোচনা হয়।
এ সময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮৮৯ কিলোমিটার পাইপ লাইনের মাধ্যমে ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৩১৭ জন গ্রাহককে সেবা দিয়েছে তিতাস।
আর অবৈধ গ্যাস বিতরণ লাইন উচ্ছেদের অংশ হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৯৯টি অভিযানের মাধ্যমে প্রায় ৩১৬ কিলোমিটার পাইপ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কমিটি অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদানে জড়িত অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের মাধ্যমে অবৈধ গ্রাহক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ক্রমবর্ধমান সিস্টেম লস কমিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছে।