logoশেয়ার বার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: গ্লোব সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে ওঠা বিনিয়োগকারীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন পুনরায় বিএসইসিতে জমা দেয়ার জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি এক চিঠির মাধ্যমে ডিএসইকে এ নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।  বিএসইসি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গ্লোব সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদনে আইনগত যেসব অঙ্গতি রয়েছে, সেগুলো দূর করে চিঠি হাতে পাওয়ার পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইকে পুনরায় প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর ডিএসইর ১৮৯ নম্বর ট্রেকহোল্ডার গ্লোব সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন বিনিয়োগকারী মো. এহছানুল হক। যার বিও নম্বর ১২০৭০০০১৭৫৮৮২৮০ এবং ক্লায়েন্ট কোড ২২৭০৬)।  অভিযোগে হাউজটির বিরুদ্ধে গ্রাহককে না জানিয়ে তার বিও অ্যাকাউন্ট থেকে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের ৪৫ লাখ শেয়ার কেনা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ডিএসই ট্রেড ডাটা এবং ডিপি ৪৯ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০৭ সালের ১৪ জুলাই থেকে ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে এহছানুল হকের অ্যাকাউন্টে ইউনিক হোটেলের শেয়ার লেনদেন হয়নি।

এ বিষয়ে শেয়ার কেনার জড়িত হাউজ প্রতিনিধি মো. রোকন উদ্দিনও এ বিষয়ে কোনো ব্যাখা দিতে পারেননি। বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্লোব সিকিউরিটিজের প্রতিনিধি মো. রোকন উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত রয়েছেন। বিনিয়োগকারী এহছানুল আজিজুর রহমান তার দেয়া ব্যাখায় ‘হাউজের মনোনীত হক যদি ওই মনোনীত প্রতিনিধির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বজায় রেখে ক্ষতিতে পতিত হন তার দায়ভার গ্লোব সিকিউরিটিজ বহন করবে না।

কিন্তু রোকন উদ্দিন দীর্ঘদিন হাউজে অনুপস্থিত থাকলেও এখনো তার প্রতিনিধিত্ব বাতিল করেনি হাউজ কর্তৃপক্ষ। তাই অনুমোদিত প্রতিনিধিকে বিএসইসির ২০০০ সালের এ সংক্রান্ত আচরণ বিধিমালা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এছাড়া অভিযোগের সকল দায়ভারও প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে গ্লোব সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে হাউজের ম্যানেজার ইকবাল বলেন, ‘এ বিষয়ে এমডি স্যারের সঙ্গে কথা না বলে কিছু বলা যাবে না’। পরে এমডির নম্বর চাইলে তিনি তা প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বিনিয়োগকারীর অজ্ঞাতে তার বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শেয়ার লেনদেন করে উপার্জিত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে গ্লোব সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৯ জানুয়ারি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন বিনিয়োগকারী এহছানুল হক। এর জের ধরে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করে ডিএসই। প্রতিবেদনে আইনি বিষয়ে কিছু অসঙ্গতির কারণে আবারো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি।