enginerআফজাল হোসেন লাভলু, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: পুঁজিবাজারে অনেক দিন পর প্রকৌশলী খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক বাড়ছে। গত সপ্তাহে লেনদেনে হঠাৎ চমক দেখিয়েছে এ খাতটি।  আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ ছিল প্রকৌশল খাতের। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। লেনদেনে এ খাতের অংশ ছিল ১৪ দশমিক ১ শতাংশ।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, দর পতনে একেবারে তলানিতে নেমে এসেছিল প্রকৌশলী খাতের কিছু শেয়ার। ফলে ঘুরে দাঁড়ানোর অন্তর্নিহিত শক্তি সঞ্চিত হচ্ছিল এ খাতের শেয়ারে। অন্যদিকে সরকার পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহন করছেন।

এ চাওয়া পূরণ করতে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রকৌশলী ও ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের দাম বাড়িয়ে মূল্য সূচককে উর্ধমুখী রাখার চেষ্টা করছে। এমন খবরে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকছে এ খাতের শেয়ারে। যদিও ব্যাংকিং খাতের সব সূচকই এখন নিম্নমুখী। এমন অবস্থায় এ খাতের শেয়ারের চাহিদা ও দামের এ উল্লম্ফণ খুব বেশি স্বাভাবিক নয়।

অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী মাহামুদুল আলম বলছেন, গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবস সুচকের দরপতন ছিল। আলোচ্য সময়ে অনেকে কম দরে শেয়ার কেনার সুযোগ নিয়েছেন। এছাড়া কোম্পানিগুলো আগের বছরের চেয়ে ভালো মুনাফা করবে এবং ভালো লভ্যাংশ দেবে এমন ধারণা থেকে অনেকে শেয়ার কিনেছেন। আর প্রকৌশল, ব্যাংক ও সিমেন্ট খাতে ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানির সংখ্যা তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এসব খাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে বলে মনে করছেন তিনি।

অন্যদিকে সদ্য সপ্তাহ শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টার্নওভারের শীর্ষে অবস্থান করছে প্রকৌশল খাত। আর সর্বনিম্নে অবস্থান করছে জুট খাত। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজ লিমিটেড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল এ খাতের। চতুর্থ অবস্থানে ছিল আর্থিক খাত। ডিএসই’র মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল এ খাতের।

এছাড়া, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১০ দশমিক ৭ শতাংশ, ব্যাংক খাতের ৮ শতাংশ, বিবিধ খাতের ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, সিমেন্ট খাতের ৪ দশমিক ১ শতাংশ, খাদ্য ও আনষঙ্গিক খাতের ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, টেলিযোগাযোগ খাতের ২ দশমিক ৮ শতাংশ, জীবন বিমা খাতের ২ দশমিক ৪ শতাংশ, আইটি খাত ও সিরামিক খাতের ছিল ১ দশমিক ৭ শতাংশ করে।

আর সেবা খাতের ১ দশমিক ২ শতাংশ, ভ্রমণ খাতের ১ দশমিক ১ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের দশমিক ৬ শতাংশ, ট্যানারি খাতে দশমিক ৫ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে দশমিক ৪ শতাংশ, পেপার খাতে দশমিক ২ শতাংশ এবং জুট খাতে দশমিক ১ শতাংশ।