বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বিনিয়োগকারীরা
আমিনুল ইসলাম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সুচকের উথান পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইতে সূচক ঊর্ধ্বগতি থাকলেও লেনদেনে ধীরগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, বিনিয়োগকারীরা বর্তমান বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন । তাছাড়া বেশ কিছুদিন ধরে টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সে কারণে লেনদেনে ধীর গতি দেখা যাচ্ছে।
আজ দুপুরে মতিঝিল সিকিউরিটিজ হাউজপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, হাউজগুলোতে অন্য সময়ের মতো বিনিয়োগকারীর পদচারণা রয়েছে। তবে সূচকের কিছুটা উর্ধ্বমুখী হলে বিনিয়োগকারীদের চোখেমুখে ছিল হতাশার ছাঁপ।
একাধিক বিনিয়োগকারীর সাথে আলাপকালে বলছেন,পুঁজিবাজার দরপতনের কোন কারন তারা খুঁজে পাচ্ছেন না। বর্তমান বাজারের সূচক পতনের নেপথ্যে বড় কোনো কারণ না থাকলেও ঘুরে-ফিরে একই বৃত্তে যেন আটকে আছে। দিনের পর দিন এমন পরিস্থিতি বিরাজ করলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। সরকারের নেওয়া উদ্যোগের যথাযথ বাস্তবায়নই এ অস্ত্বিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে বলে মনে করেন তারা।
আল-আরাফাহ সিকিউরিটিজ হাউজের বিনিয়োগকারী লিটন বলেন, পুঁজিবাজার দীর্ঘ দিন ধরে পতনের বৃত্তে আবদ্ধ রয়েছে। বাজার নিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট বেড়ে গেছে। অনেকের দীর্ঘ দিন পুঁজি আটকে রয়েছে। কারো আবার নতুন বিনিয়োগের ইচ্ছা থাকলেও এগিয়ে আসছে না। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপের বাস্তবায়ন জরুরি। এর সাথে আস্থা বৃদ্ধিতে ভালো মৌলভিত্তি কোম্পানিগুলোকে বিশেষ করে বহুজাতিক কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত করতে হবে। এতে বাজারে বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরবে বলে মনে করেন তিনি।
মশিউর রহমান নামে এক বিনিয়োগকারী বলেন, বাজার দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক হচ্ছে না। কোনো পদক্ষেপ যেন কাজে আসছে না। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যেন থেমে রয়েছে। কোন অদৃশ্য কারণে পরিস্থিতি এমন হয়েছে তা খতিয়ে দেখার দাবি জানান তিনি।
থুলনায় এম সিকিউরিটিজ হাউজের কর্মকর্তা শেখ মাসুদ হাসান শেয়ারবার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাজার স্বাভাবিক না হলেও বিনিয়োগকারীরা নিয়মিত হাউজে আসছেন। কেউ লেনদেন করছেন আবার কেউ না করেই ফিরে যাচ্ছেন। তাতে লেনদেন কমেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইর প্রধান সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৪৭০ পয়েন্টে। এখন পর্যন্ত মোট লেননে হয়েছে ২০৩ কোটি টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১১৯ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর বেড়েছে। একইভাবে বাজার তালিকাভুক্ত ১২৬ টি কোম্পানির শেয়ারের দর দর কমার পাশাপাশি অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর। এদিকে এখন পর্যন্ত মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ৭৮ লাখ শেয়ার। শেয়ারগুলো বেচা কেনা হয়েছে ৪৫ হাজার ৮২৩ বার হাত বদলের মধ্যে দিয়ে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার এখনো লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রথম দিকে রয়েছে ,ইউপিজিডিসিএল, লংকা বাংলা ফাইনান্স, সামিট পাওয়ার,অরিয়ন ফার্মা,কাসেম ড্রাইসেল,বিএসআরএম স্টিল,লাফাস সুরমা সিমেন্ট, সিনো বাংলা, অলটেক্স, তাল্লু স্পিনিং, জাহিন স্পিনিং ও সিএমসি কামাল।