নভেম্বরে তিন প্রতিষ্ঠানের আইপিও আবেদন
পুঁজিবাজার নভেম্বর মাসে আইপিওতে আসছে তিন কোম্পানি। নভেম্বর মাসে তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করবে। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফিন্যান্স মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান, এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি কনসালট্যান্ট। প্রতিষ্ঠান তিনটি পুঁজিবাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে ২১২ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি
ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফিন্যান্স মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান এর প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন আগামী ৮ নভেম্বরে শুরু হবে। চলবে ১২ই নভেম্বর পর্যন্ত। সাধারণ বিনিয়োগকারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ১৫ কোটি ইউনিট ছাড়বে। প্রতিটি ইউনিটের মূল্য ১০ টাকা হিসেবে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। সংগৃহীত অর্থে কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ বাবদ ব্যয় করবে।
বিডি ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড ফান্ডের স্পন্সর। বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিজিআইসি) এর ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ফান্ডের কাস্টডিয়ান (জিম্মাদার) হিসেবে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড।
ইনফরমেশন টেকনোলজি
ইনফরমেশন টেকনোলজি কনসালট্যান্টসের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন ২ নভেম্বর শুরু হবে। চলবে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত। এ সময়সীমা দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রযোজ্য।
সূত্র জানায়, কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১২ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। কোম্পানিটিকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে টাকা সংগ্রহ করে ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খাতে ব্যয় করবে।
এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড
মিউচুয়াল ফান্ড খাতের এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) ইউনিট পেতে আগামী ৮ থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে। শেয়ারবাজার বিএসইসি ১২ অক্টোবর এ ফান্ডের প্রসপেক্টাস অনুমোদন দেয়। কোম্পানিটি ৫০ কোটি টাকার ফান্ড তৈরিতে ১০ টাকা মূল্যের পাঁচ কোটি ইউনিট বাজারে ছাড়বে।
মোট পাঁচ কোটি ইউনিটের মধ্যে আড়াই কোটি ইউনিটের রিজার্ভ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের ৫০ লাখ ইউনিট, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ৫০ লাখ ইউনিট, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের ৫০ লাখ ইউনিট এবং দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের এক কোটি ইউনিট রিজার্ভ আছে।
প্রসপেক্টাস অনুযায়ী অবশিষ্ট থাকা আড়াই কোটি ইউনিটের মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ডের ২৫ লাখ ইউনিট, অনাবাসী বাংলাদেশিদের ২৫ লাখ ইউনিট, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ৫০ লাখ আর বাংলাদেশি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক কোটি ৫০ লাখ ইউনিট বণ্টন করা হবে।
স্টাফ রিপোর্টার, শেয়ার বার্তা ২৪ডটকম