প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পাওয়া রিজেন্ট টেক্সটাইলস মিলস লিমিটেডের আইপিও স্থগিত হওয়া না হওয়া নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দ্বিধাদ্ধন্ধ চলছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এ দ্ধিধাদ্ধন্ধ চলতে থাকায় আইপিওতে আসা কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগকারীর আবেদনের ব্যাপক সাড়া থাকলেও রিজেন্ট টেক্সটাইলের সাবস্ক্রিপশনে সাড়া কম। হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের আবেদন জমা দেয়া আগ্রহ নেই।

ডিএসই তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ হাউজগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, আবেদন শুরুর পর থেকে রিজেন্ট টেক্সটাইলস মিলস লিমিটেডের আইপিওতে তেমন কোন সাড়া পড়ছে না। আবার প্রিমিয়ামসহ এই খাতের কোম্পানির শেয়ারের দর ভালো হবে না বলে অনেকে আবেদন করছে না। এ বিষয়ে নাম না প্রকাশের শর্তে সিকিউরিটিজ হাউজের এক কর্মকর্তা বলেন, রিজেন্ট টেক্সটাইলস মিলস লিমিটেডের আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের তেমন সাড়া নেই।

অথচ অন্যান্য কোম্পানির সাবস্ক্রিপশনের সময় বিনিয়োগকারীদের আবেদন এত বেশি জমা পড়া যে কথা বলার সময় পাওয়া যেত না। সে তুলনায় এখন অলস সময় পার করছি। এছাড়া বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী এ কোম্পানির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার রায় আসার অপেক্ষা করছেন। এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের এক নেতা বলেন, দুর্বল ও প্রশ্নবিদ্ধ কোম্পানি হওয়ায় এ কোম্পানির আইপিও আবেদন থেকে বিরত রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

তিন মাস আগে ঋণ খেলাপিতে থাকা কোম্পানি বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে আইপিওতে এসেছে। উল্লেখ্য, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের একাধিক সিকিউরিটিজ হাউজে এখনও পর্যন্ত এ কোম্পানির কোনো আইপিও আবেদন জমা পড়েনি। এদিকে এ কোম্পানির মামলার বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: তৌফিকুল ইসলাম জানান, যে আদালতে রিজেন্ট টেক্সটাইলের আইপিও স্থগিতের শুনানী চলছে গতকাল সেখানে শুরুতে মেডিক্যাল ভর্তি প্রশ্ন ফাঁস সংক্রান্ত মামলার শুনানী হয়েছে।

সে শুনানী শেষ হতে হতে আদালতের নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। তাই মঙ্গলবার পুনরায় এর শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোম্পানি পক্ষ থেকে দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে জানানো হয়, সাবস্ক্রিপশনের পরিসংখ্যান তাদের জানা নেই। এই হিসাব পরে জানানো হবে। এদিকে বিনিয়োগকারীদের দায়ের করা মামলার রায় আজ (১৯ অক্টোবর) আসার কথা থাকলেও আদালতে এ সংক্রান্ত কোনো শুনানী হয়নি।

তবে আজ পুনরায় এ কোম্পানির আইপিও সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে শুনানী হবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে বলে বাদী পক্ষের আইনজীবী দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে জানিয়েছেন। এদিকে এ কোম্পানির আইপিও আবেদনের সময় চলছে।

কিন্তু বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী আইপিও আবেদন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্ধ থাকায় তেমনটা সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, যদি এ কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয় তাহলে আবেদন করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাই মহামান্য আদালতের রায়ের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

এইচ কে সবুজ, স্টাফ রিপোর্টার