পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (বিডি ফাইন্যান্স) কে আইন অমান্য করায় এক কোটি টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ভবিষ্যতে আইন পালনে সতর্ক থাকার জন্যও প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ১ অক্টোবর তারিখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ বিডি ফাইন্যান্স লিমিটডেকে এ সম্পর্কিত একটি চিঠি দিয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে বিডি ফাইন্যান্সকে ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বিডি ফাইন্যান্সের চলতি হিসাব থেকে ১ কোটি টাকা ডেবিট করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাধারণ হিসাবে জমা করা হয়েছে। জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ ১৯৭২ (১৯৭২ সালের আদেশ নম্বর ১২৭) এর ৩৬ (১) ধারা অনুসারে, বাংলাদেশে অনুমতি প্রাপ্ত সব তফসিলি ব্যাংক (শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকসহ) প্রতিষ্ঠানগুলোকে মোট আমানতের ৬.৫ শতাংশ নগদ জমা রাখা সংরক্ষণ (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা সংরক্ষণ (এসএলআর) হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে হবে।

অন্যদিকে নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ শতাংশ হারে জমা রাখতে হবে। এই সাড়ে ৬ শতাংশ জমার হিসাব হবে ১৫ দিন পর পর। তবে দৈনিক জমার পরিমাণ মোট আমানতের ৬ শতাংশের কম করা যাবে না। সিআরআর ও এসএলআর সংরক্ষণের ক্ষেত্রে মুদ্রানীতি বিভাগের নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলেই জরিমানা গুণতে হবে দেশে কার্যরত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

২০১৪ সালের ২৩ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই নিদের্শনা দেওয়া হয়। এদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমাতে ২০১৪ সালের ২৩ জুন সিআরআর ও এসএলআর ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি বিভাগ।

প্রসঙ্গত, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নগদ জমা রাখা সংরক্ষণ (সিআরআর) এবং বিধিবদ্ধ জমা সংরক্ষণ (এসএলআর) এর টাইম অ্যান্ড ডিমান্ড লাইয়েবিলিটি মার্জিন লঙ্ঘন করলে প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকা এবং মোট আমানতের উপর ৫ শতাংশ হারে এই জরিমানা আদায় করা হয়ে থাকে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম মাহফুজুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করার জন্য বিডি ফাইন্যান্সকে এ জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আইন অমান্য না করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। বর্তমানে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য কে›ন্দ্রীয় ব্যাংক সবসময় সচেষ্ট রয়েছে।

বিশেষ প্রতিবেদক