আমান ফিডের ডিভিডেন্ড নিয়ে নানা গুঞ্জন !
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি আমান ফিডের পরিচালনা পর্ষদের সভা আগামী ২১ অক্টোবর। সভায় বিনিয়োগকারীদের জন্য কেমন ঘোষনা আসতে পারে এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন। তবে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানি কাছ থেকে ‘সন্তোসজনক’ লভ্যাংশের প্রত্যাশা করছেন। তবে কেমন ঘোষণা হবে, তাই নিয়ে চলছে অনেক বিনিয়োগকারীর মুখরোচক আলোচনা।
বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সঙ্গে কতোটা প্রাপ্তি ঘটবে, তা নিয়ে তারা দিনক্ষণ গুনছেন। তাছাড়া এ কোম্পানিটি নানা বির্তকিতের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, ২১ অক্টোবর বিকাল ৩টায় সভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। সম্প্রতি আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিটির ২০১৫ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা সম্ভাবনা রয়েছে।
কোম্পানটি বাজারে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ৭২ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। কোম্পানির শেয়ার রয়েছে মোট ৬ কোটি। তবে লেনদেন আসার পরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি দরে অনেকটা ভাটা পড়ে। লেনদেনের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক প্রত্যাশা যোগালেও পরে দরে রাখতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৯৮ টাকা দর থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ৫৭ টাকায়। সম্প্রতি কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এখনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।
তবে শুরুতে সন্তোষজনক লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের জন্য ঘোষণা আসতে পারে বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন। কেননা, ইপিএস ও ন্যাভ বেশ ভালো। কোম্পানির অন্যান্য দিক বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে, প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ১০ টাকা। এর ১৪.৫ শতাংশের মালিক হিসেবে চেয়ারম্যানের রয়েছে ৮৭ লাখ শেয়ার। টাকার হিসেবে ৮ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার। ২২.৭৫ শতাংশের মালিক হিসেবে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের রয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার। টাকার হিসেবে ১৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার।
২২.৭৫ শতাংশের মালিক হিসেবে পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলামের রয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার। টাকার হিসেবে ১৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার। কোম্পানির তথ্য বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে, আবার ২২.৭৫ শতাংশের মালিক হিসেবে পরিচালক মো. তরিকুল ইসলামের রয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার। টাকার হিসেবে ১৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসেবে কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকদের রয়েছে ৯১ শতাংশ বা ৫ কোটি ৪৬ লাখ শেয়ার। টাকার হিসেবে ৪৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার।
বাকী ৯ শতাংশ বা ৫৪ লাখ শেয়ারের মধ্যে ৩ শতাংশ করে মালিকানায় রয়েছে আমান এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আমান কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড ও মিলান কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড। সে হিসেবে ৩ কোম্পানির প্রত্যেকের পৃথকভাবে রয়েছে ১৮ লাখ করে শেয়ার। যা টাকার হিসেবে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার। সব মিলে ৬ কোটি শেয়ার বা ৬০ কোটি টাকার শেয়ার রয়েছে।
শহিদুল ইসলাম