এইচ কে সবুজ : ২০০০ সালের সৌদি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড এগ্রিকালচার ইনভেস্টমেন্ট (সাবিনকো) ও প্লেসমেন্ট শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইবুনালে মঙ্গলবার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ট্রাইবুনালের বিচারক হুমায়ুন কবীর মামলা দুটির পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেন।

সাবিনকোর শেয়ার কেলেংকারি মামলায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষে সাক্ষী দেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মাহবুবের রহমান চৌধুরী। সাক্ষ্য শেষে তাকে জেরা করেন আসামি কুতুব উদ্দিনের আইনজীবী মোঃ বোরহান উদ্দিন। এদিকে সাবিনকোর মামলায় ৩ সাক্ষীকে ট্রাইবুনালে হাজির করার জন্য সমনজারি করেছেন আদালত।

তারা হলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) শুভ্র কান্তি চৌধুরী, বিএসইসির তৎকালীন পরিচালক (বর্তমানে নির্বাহী পরিচালক) ফরহাদ আহমেদ ও তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক (পরবর্তীতে বিএসইসির কমিশনার ও বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মনসুর আলম। সমনজারির মাধ্যমে মামলার পরবর্তী কার্যদিবসে তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইবুনাল।

আগামী ১৫ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন ট্রাইবুনালের বিচারক। বিএসইসির আইনজীবী মাসুদ রানা বলেন, সাবিনকোর শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় গতকাল সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ হয়েছে। আর ৩ জন সাক্ষীকে পরবর্তী তারিখে উপস্থিত থাকার জন্য সমন জারি করা হয়েছে। আদালতে অন্যদের মধ্যে আসামি মোঃ কুতুবউদ্দিন আহমেদ, আসামির আইনজীবী এসএম আবুল কালাম ও বিএসইসির উপ-পরিচালক এ এস এম মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের জুন থেকে জুলাই সাবিনকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কিছু কর্মকর্তা ব্যক্তিগত অসৎ উদ্দেশ্যে অর্জনের জন্য বিভিন্ন ব্রোকারস হাউজে শেয়ার লেনদেন করতেন। একই দিনে বিভিন্ন ব্রোকারস হাউসে শেয়ার কিনতেন এবং একই শেয়ার অন্য ও ব্রোকারস হাউসের মাধ্যমে বিক্রয় করতেন। তিনি ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে সাবিনকোর আনসীল ফান্ড ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটির জন্য শেয়ার কিনতেন।

এই শেয়ার ক্রয়ের উদ্দেশ্য ছিল কিছু কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ানো। এদিকে প্লেসমেন্ট শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় এসআই নিজাম উদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মামলাটির পরবর্তী বিচারের জন্য আগামী ১৬ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। এ মামলার আসামিরা হলেন- গ্রিন বাংলা কমিউনিকেশন কোম্পানিসহ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রয়াত নবীউল্লাহ নবী ও সাত্তারুজ্জামান শামীম। ২০১৩ সালের জুন মাসে নবীউল্লাহ নবী ট্রেনের নিচে চাপা পড়ে মারা যান।