এপেক্স ট্যানারির ৪০ বছরের ইতিহাসে প্রথম নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চামড়া খাতের কোম্পানি এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড গত ৪০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম লভ্যাংশের নজির ভাঙল। ফলে কোম্পানিটি গত ৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। তবে কোম্পানিটি ধারাবাহিক লভ্যাংশ দিলেও সমাপ্ত অর্থবছর লভ্যাংশের কারণ ব্যাখা করেনি।
কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৪ টাকা ৬২ পয়সা, কোম্পানিটির এই যাবৎ কালে সব্বোর্চ লোকসান করেছে। কোম্পাটি আগের বছর শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিলো ৮ টাকা ৩১ পয়সা। তবে আলোচ্য বছরে কোম্পানির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে; সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৫৮ পয়সা, যা আগের বছরে ছিল ১ টাকা ৮৭ পয়সা।
এছাড়া, ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ১৯ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৪৫ টাকা ৪৩ পয়সা। এপেক্স ট্যানারির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার সকাল ১১টায়, হাইব্রিড পদ্ধতিতে। সভার জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ নভেম্বর।
ডিএসইর সূত্র মতে, ১৯৮৫ সালে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর ২০০০ সালে কোন লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। এর বাইরে কোম্পানিটি প্রতিবছরই শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিটি ২০২৪ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, কোম্পানিটি ২০২১ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, কোম্পানিটি ২০২০ সালে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ,
কোম্পানিটি ২০১৯ সালে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, কোম্পানিটি ২০১৮ সালে ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৭ সালে ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৬ সালে ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৫ সালে ৪৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৪ সালে ৪৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৩ সালে ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১২ সালে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১১ সালে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১০ সালে ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।
মুলত ২০২০ সালের পর থেকে কোম্পানিটি লোকসানে চলে আসছে। ২০২০ সালে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ১ টাকা ১৯ পয়সা। তবে ২০২০ সালে লোকসান হলেও ২০২১ সালে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ঐ বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা ৩৪ পয়সা। এরপর ২০২২ সালে কোম্পানির শেয়ার প্রতি মুনাফা ৮২ পয়সা।
২০২৩ সালে কোম্পানিটি ফের বড় লোকসানে চলে যায়। ঐ বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ৮ টাকা ১৭ পয়সা। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি লোকসান আরো বেড়ে যায়। ঐ বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ৮ টাকা ৩১ পয়সা। এর পর সমাপ্ত অর্থবছর কোম্পানিটির লোকসান বেড়ে ১৪ টাকা ৬২ পয়সা।

