শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: টানা দরপতনের কবলে দেশের পুঁজিবাজার। টানা দরপতন হলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিরব ভুমিকা পালন করেছে। অথচ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের নিরাপত্তা কথা বলছিলো। টানা দরপতনে আস্থাহীনতায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের রক্তক্ষরণ হলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা মুখ খুলছে না। অথচ দুই বছর আগে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেছিলেন, আপনারা বিনিয়োগকারীরা নির্ভয়ে বিনিয়োগ করুন, পুঁজির নিরাপত্তা দিবো আমি।

ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক গত তিন বছর পর সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে। একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতনে প্রতিনিয়ত পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে বেড়েই চলছে বিনিয়োগকারীদের হাহাকার। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, পুঁজি হারা বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগ করা পুঁজি রক্ষার কোনো উপায় পাচ্ছেন না। এতে নীরবে তাদের রক্তক্ষরণ বেড়েই চলছে।

পতনের ধাক্কায় মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছেন অনেক বিনিয়োগকারী। অনেকে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না। সংসার জীবনেও অশান্তি দেখা দিয়েছে কারও কারও। যে কারণে অনেক বিনিয়োগকারীর কাছে এখন পুঁজিবাজার আতঙ্কের জায়গায় পরিণত হয়েছে। যার ফলে অনেক বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজার ছাড়তে শুরু করেছেন। নিয়মিত সিকিউরিটিজ শুন্য হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের হাজার হাজার পোর্টফোলিও।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬৮৭ পয়েন্টে। এর আগে ঈদ পরবর্তী বা চলতি সপ্তাহের ৩ কার্যদিবসে সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।

বৃহস্পতিবারের এমন পতনে ডিএসইএক্স সূচকটি ২০২১ সালের ১০ মে’র মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমে গেছে। অর্থাৎ আজকের সূচকটি বিগত ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের ৯ মে সূচকটি আজকের তুলনায় কম ছিল। ওইদিন ডিএসইএক্স ছিল ৫৬৪৬ পয়েন্টে।

আজ ডিএসইতে ৫২২ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের দিন হয়েছিল ৪৮২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৩৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকার বা ৮ শতাংশ। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৫ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ২৯ টি বা ৭.৩৪ শতাংশের। আর দর কমেছে ৩৪২ টি বা ৮৬.৫৮ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ২৪ টি বা ৬.০৮ শতাংশের।

অপরদিকে সিএসইতে বৃহস্পতিবার ১৮ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১১ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৩৬ টির, কমেছে ১৫৫ টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২০ টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২০৭ পয়েন্ট কমে দাঁডিয়েছে ১৬২৫৩ পয়েন্টে।