শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দেশের প্রথম এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) এলবি মাল্টি অ্যাসেট ইনকাম ইটিএফ এর ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টায় শুরু হবে। এটি ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে। ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের মাধ্যমে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের (ঊষরমরনষব ওহাবংঃড়ৎ) কাছে এই ইটিএফের ইউনিট বরাদ্দ করা হবে। মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশে এ সাবস্ক্রিপশন চলবে। ইটিএফটির সম্পদ ব্যবস্থাপক লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এলবি মাল্টি অ্যাসেট ইনকাম ইটিএফ এর প্রাথিমক লভ্যাংশমাত্রা ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ফান্ডটির ৭০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। ফান্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা। যে কোনো যোগ্য সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকা ও সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকার ইউনিট কেনার জন্য প্রস্তাব করতে পারবে।

আলোচিত ইটিএফটির উদ্যোক্তা লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এর সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে লংকাংবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড। ট্রাস্টি ও কাস্টোডিয়ানের দায়িত্বে আছে যথাক্রমে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (বিজিআইসি) ও কাস্টডিয়ান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক। এর অথরাইজড পার্টিসিপেন্টস হিসেবে রয়েছে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ, গ্রিন ডেল্টা সিকিউরিটিজ ও ইউনাইটেড ফাইন্যান্সিয়াল ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড।

ফান্ডটির প্রাথমিক আকার হবে ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস ১০ কোটি ও সম্পদ ব্যবস্থাপক লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। বাকি অর্থ প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও পাবলিক অফারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।

২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর ৮৪৯তম কমিশন সভায় লংকাবাংলা ইটিএফটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ইটিএফটি ডিএসইতে অন্য যে কোনো শেয়ারের মতোই লেনদেন করা যাবে। ইটিএফটির দর নির্ধারণ ও তারল্য সরবরাহের ক্ষেত্রে অথরাইজড পার্টিসিপেন্টরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে। বিধি অনুসারে ইটিএফটির বাজার দর যাতে এর দৈনিক নিট সম্পদমূল্যের (এনএভি) ১০ শতাংশের বেশি না কমে সেটি নিশ্চিত করবে অথরাইজড পার্টিসিপেন্টরা।

ইটিএফ বিধিমালা ২০১৬-এর বিধি ৬(ধ) অনুসারে ইটিএফ গঠনের সময় এর ন্যূনতম তহবিলের আকার কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা হতে হবে। এক্ষেত্রে উদ্যোক্তার ১০ শতাংশ, সম্পদ ব্যবস্থাপকের ২ ও বাকি ৮৮ শতাংশ অর্থ প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে।

অর্থাৎ উদ্যোক্তা, সম্পদ ব্যবস্থাপক ও প্রাইভেট প্লেসমেন্ট মিলিয়ে ইটিএফের আকার ৫০ কোটি টাকা হতে হবে। অন্যদিকে পাবলিক অফারের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইটিএফের আকার ৫০ কোটি টাকার বেশি হতে হবে। এই ইটিএফে মোট আয়ের ন্যুনতম ৭০ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করা হবে।