শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আতঙ্ক কেটে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে টানা দুই কার্যদিবস মূল্যসূচকের উত্থান হলো।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর মাত্রাতিরিক্ত বিক্রির চাপে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবস সূচকের বড় দরপতন হয়েছে। এতে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা উধাও হয়ে যায়। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের দরপতন ঘটে। তবে সোমবার শেয়ার বিক্রির চাপ কিছুটা কমে আসায় পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়।

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর সাত কর্মদিবসের মধ্যে তিন কর্মদিবস সূচক বেড়েছে ৫৪ পয়েন্ট। বাকি চার কর্মদিবসে সূচক কমেছে ২৯৩ পয়েন্ট। যার ফলে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের কারণে ডিএসইর নীট সূচক খোয়া গেছে ২৩৯ পয়েন্ট। বিপরীতে আজ মঙ্গলবার সূচক উদ্ধার হয়েছে আরও প্রায় ৫৩ পয়েন্ট। সূচক এখনো উদ্ধারের বাকি ১৮৬ পয়েন্ট।

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫২.৯৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ১৫০ পয়েন্টে। এছাড়াও, শরীয়াহ সূচক ‘ডিএসইএস’ ১২.৬৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৫৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭.৭৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১১১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আজ ডিএসইতে ৯৩৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৬২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আজ ডিএসইতে লেনদেন ৩৯৪টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৫৫টির, কমেছে ৯২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ১৫ কোটি ৩৬ লাখ ৮১ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আজ সিএসইতে ২৭২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭১টির, কমেছে ৭৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের। আগের দিন সিএসইতে ২৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৮৯টির, কমেছিল ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৯টি প্রতিষ্ঠানের।