শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর সপ্তাহের চতুর্থ ও পঞ্চম কার্যদিবসে নতুন করে দরপতনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে বিনিয়োগকারীদের মাঝে। এদিন ডিএসইতে ৭০ পয়েন্ট সূচকের দরপতন হয়েছে। মুলত সপ্তাহের শেষ দুই কর্মদিবস সূচক কমেছে ১২০ পয়েন্ট।

এতে দেখা যায়, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে দুই কার্যদিবস সূচক বেড়েছে ৩৬ পয়েন্ট। তিন কর্মদিবসে সূচক কমেছে ২১৬ পয়েন্ট। যার ফলে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের কারণে ডিএসইর সূচক হারিয়েছে ২১৬ পয়েন্ট।

অন্যদিকে, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের দিন বৃহস্পতিবার ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পাঁচ কর্মদিবস পর বৃহস্পতিবার ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের ফসল হলো ডিএসইর বাজার মূলধন ৩২ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা গায়েব।

এদিকে, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের জন্য যারা অনবরত চাপ দিচ্ছিল, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর দুই কর্মদিবস তাদের কিছুটা সক্রিয় ছিল। তারপর ফের নিস্কিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। স্মাট বিনিয়োগকারীরা নিস্কিয় হয়ে পড়ায় গত দুই কর্মদিবস বাজারে বড় পতন দেখা গেল। তারা ফের কম দামে বাজার থেকে শেয়ার তোলার কৌশল নিয়েছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ তুলছেন।

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭০.২৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ১৫৬ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস ২০.৬১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক ২৪.৫২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে যথাক্রমে ১৩৫২ ও ২১১৪ পয়েন্টে।

আজ ডিএসইতে ৮৭০ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৭৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। আজ ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮৯টি কোম্পানির। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৫টির, কমেছে ২৮২টির এবং শেয়ারদর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ১৫ কোটি ৩৬ লাখ ৮১ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৩৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আজ সিএসইতে ২৬০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে।

এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ১৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি প্রতিষ্ঠানের। আগের দিন সিএসইতে ২৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৫১টির, কমেছিল ২০৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৩টি প্রতিষ্ঠানের।