শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান বলেছেন, আমরা কেন শেয়ার মার্কেটে যাব না? ঢাকা ওয়াসা লাভজনক প্রতিষ্ঠান। আমরা এটা নিয়ে চিন্তা করতে পারি। এই চিন্তা করার জন্য দায়িত্ব দিলাম স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে। এই আমলেই আপনারা পারেন ঢাকা ওয়াসাসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে স্টক মার্কেটে নিয়ে গিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে।

রোববার কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসা ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা ওয়াসা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলামের মতবিনিময় করতে এই সভার আয়োজন করা হয়।

তাকসিম এ খান বলেন, আমরা ঢাকা ওয়াসাকে ইতোমধ্যে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছি। লাভজনক প্রতিষ্ঠান মানে এই না যে আমাদের উদ্বৃত্ত লাভ। লাভজনক প্রতিষ্ঠান মানে আমরা একটি ব্রেক ইভেন্ট পয়েন্টে, সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারের কোনো ভর্তুকি ছাড়া এগিয়ে যাওয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আমরা চেষ্টা করব ঢাকা ওয়াসাকে কোনো রকমের ভর্তুকি ছাড়া প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা যায়। তাই আমরা কেন শেয়ার মার্কেটে যাব না?

তিনি বলেন, ঢাকা ওয়াসার যেসব অসম্পূর্ণ কাজ রয়েছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেসব কাজ আমরা শেষ করব। মাইক্রোম্যানেজমেন্টে আমরা অনেক কিছু করে ফেলেছি আলহামদুলিল্লাহ। এবার যেসব কাজ আমাদের অসম্পূর্ণ রয়েছে, সেগুলো আমরা দ্রুত করতে চাই। আমাদের যে ঢাকা ওয়াসা অ্যাক্ট ১৯৯৬ এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা আমাদের লক্ষ্য। আর এই পথে আমরা ইতোমধ্যে অনেকদূর এগিয়েছি। ঢাকা ওয়াসার অর্গানোগ্রাম পরিবর্তনে সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। ঢাকা ওয়াসাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি।

এমডি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা ও সার্বিক দিকনির্দেশনায় আমরা আজ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট ওয়াসার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন স্মার্ট বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসাকেও আমরা স্মার্ট ওয়াসার দিকে নিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও গত পাঁচ বছর ধরে আমাদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি আমাদের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এই পাঁচ বছরে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। এটি যদি আরও ১০ বছর আগে হত, তাহলে আমরা আরও অনেক এগিয়ে যেতে পারতাম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিমসহ ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সুজিত কুমার বালাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।