স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দীর্ঘদিন নীরব থাকার পর পুঁজিবাজারে আবারও সক্রিয় হচ্ছেন প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় পুঁজির বিনিয়োগকারীরা। মুলত নির্বাচনের পর বাজার স্থিতিশীলতার আভাসে প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় পুঁজির বিনিয়োগকারীরা ফের সক্রিয় হচ্ছেন। কারণ বর্তমানে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর আকর্ষণীয় পর্যায়ে থাকায় তারা বিনিয়োগে ফিরে আসছেন। যে কারণে বাজারে লেনদেনে বড় অগ্রগতি

দেখা যাচ্ছে। আগে যেখানে তিন’শ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন আটকে ছিল, এখন সেখানে সাত’শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে লেনদেন হচ্ছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বড় বিনিয়োগকারীরা বাজারে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। দেশে নির্বাচন পূববর্তী সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার যে শঙ্কা ছিল, এখন তা কেটে গেছে। যে কারণে তারা বাজারমুখী হতে শুরু করেছেন। কিন্তু তাদের কাছেই তেমন শেয়ার নেই। নির্বাচনের আগে তারা বেশিরভাগ শেয়ার ছেড়ে দিয়েছেন। এখন শেয়ার সংগ্রহের জন্য তারা নতুন কৌশলে রয়েছেন।

যে কারণে মাঝে মধ্যেই বাজারে আচমকরা পতন দেখা যাবে। এতে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হলে চলবে না। কারণ আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার ছেড়ে দিলে তারা সেই শেয়ার লুফে নিবে। অন্যদিকে, বিনিয়োগকারা সেসব শেয়ার আর কম দামে পাবেন না।

এদিকে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দিনের শুরুতে সূচকের বড় উত্থান হলেও দিনশেষে নামমাত্রা সূচকের উত্থান হয়েছে। মুলত দিনশেষে প্রফিট টেকিংয়ের অজুহাতে ভালো মৌল ভিত্তি শেয়ার হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩০২ পয়েন্টে। যদিও দিনের শুরুতে ডিএসইস ব্রড ইনডেক্স ১৪ পয়েন্টের বেশি বেড়ে লেনদেন হয়েছে।  দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৫৫ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮১টির, দর কমেছে ৯৯টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৫টির। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৬২ পয়েন্টে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ১৩ কোটি ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১১ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আজ সিএসইতে ১৯৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৮টির, কমেছে ৬৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৬টি প্রতিষ্ঠানের। আগের দিন সিএসইতে ১৯০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৬৪টির, কমেছিল ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৮২টি প্রতিষ্ঠানের।