শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ১৪ জন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত এসব সংসদ সদস্যরা এরমধ্যে শপথগ্রহণ করেছেন। পুঁজিবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

পুঁজিবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন: বেক্সিমকো সিকিউরিটিজ লিমিটেড চেয়ারম্যান সালমান ফজলুর রহমান, বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার জাহিদ মালেক, এইচআর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক সাবের হোসেন চৌধুরী, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার এ কে আজাদ।

এবার এআরসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রহমান, মোনা ফিন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আহসানুল ইসলাম, ট্রেজারার সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়াদের মধ্যে আরও রয়েছে: ট্রাস্টি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মন্ডল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল মমিন মন্ডল, বিএনবি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক এএফএম বাহাউদ্দিন নাসিম এবং আরএকে ক্যাপিটাল লিমিটেডের পরিচালক এসএকে একরামুজ্জামান।

এছাড়া আনোয়ার খান মডার্ন সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেইন খান, স্নিগ্ধা ইক্যুইটিজ লিমিটেডের পরিচালক নিজাম উদ্দিন হাজারী, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক এইচ এম ইব্রাহিম এবং মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেড পরিচালক সাকিব আল হাসান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট এ ১৪ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার, ট্রেকহোল্ডারসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট স্বনামধন্য ব্যক্তিরা রয়েছেন। উপদেষ্টা, মন্ত্রী, বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা এবং পুঁজিবাজার বিষয়ক শিক্ষা কার্যক্রমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরসহ তাদের রয়েছে বহুমুখী ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন।

ডিএসই’র চেয়ারম্যান বাবু বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পুঁজিবাজারের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে তারা আগামী দিনগুলোতে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অধিকতর ভূমিকা রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুঁজিবাজার বান্ধব ব্যক্তিত্ব। পুঁজিবাজারের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, ভবিষ্যতেও তার এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।

তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে অবকাঠামোগতভাবে দেশে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অবকাঠামোকে ঘিরে সারাদেশের উদ্যোক্তারা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দেশের পুঁজিবাজার হতে পারে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের অন্যতম মাধ্যম। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হলো স্মার্ট ইকোনমি। আর স্মার্ট ইকোনমির জন্য প্রয়োজন স্মার্ট পুঁজিবাজার।

তিনি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, পুঁজিবাজারকে স্মার্ট পুঁজিবাজারে রূপান্তর করার জন্য আপনাদের বিচক্ষণ দিকনির্দেশনা ও উদ্ভাবনী চিন্তা-চেতনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা গেলে দেশের পুঁজিবাজার এশিয়ার নেতৃস্থানীয় পুঁজিবাজারে পরিণত হবে বলে আমার বিশ্বাস।