শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের কিছুটা কারেকশনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে টানা ৭ কার্যদিবস সূচকের উত্থানের পর কিছুটা কারেকশন হলেও ভয়ের কিছু নেই বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। কারণ পুঁজিবাজারে টানা দরপতন পর একটু কারেকশন স্থিতিশীল বাজারের লক্ষণ বলে তারা মনে করছেন।

এছাড়া গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবস এবং তার আগের সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবস পুঁজিবাজারে মূল্যসূচক বাড়ে। এমন টানা বাড়ার পর এখন যে দরপতন হয়েছে তাকে স্বাভাবিক বলছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

একাধিক বিনিয়োগকারীর সাথে আলাপকালে বলেন, টানা সাত কার্যদিবস সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর কিছুটা পতন হওয়া স্বাভাবিক। কারণ বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার দাম টানা বেড়েছে। ফলে ওই সব শেয়ারে বিনিয়োগ থাকা বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়ার জন্য শেয়ার বিক্রি করেছেন। এতে বিক্রির চাপ বেড়ে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরু হওয়ার পর বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকায় লেনদেনের প্রথম আধাঘণ্টা সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকে। তবে এরপর এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা বিক্রির চাপ বাড়ান। ফলে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। এতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।

ডিএসইর সূত্র মতে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে প্রায় দ্বিগুণ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১১২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে মাত্র ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১০০টির। আর ১৭৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে পাঁচ’শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৩৭ কোটি ৯১ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৫০ কোটি ২০ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৮৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫১টির এবং ১১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১০ কোটি ৫২ লাখ টাকা।