শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভিন্ন ভিন্ন খাতের চার কোম্পানির শেয়ারে দুই সপ্তাহে ৩০ শতাংশ পুঁজি উধাও হয়ে গেছে। কোম্পানি চারটি হলো: ফুয়াং ফুড লিমিটেড, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ লিমিটেড, লিগ্যাসি ফুটওয়ার এবং ইয়াকিন পলিমার। এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চার কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের তাদের পুঁজি হারিয়েছে ৩০ শতাংশের বেশি।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে যারা লাভর আশায় কোম্পানি চারটি শেয়ার কিনেছিলেন, তাদের লাভতো দুরের কথা, ৩০ শতাংশের বেশি পুঁজিই উধাও হয়ে গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ফুয়াং ফুড লিমিটেড: গত ৫ সেপ্টেম্বর ফুয়াং ফুড লিমিটেডের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪২ টাকা ৯০ পয়সা। মাত্র ৯ কর্মদিবসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩৩.৯০ টাকার নিচে নেমে গেছে। যারা কোম্পানিটির শেয়ার ওই সময়ে কিনেছেন, তাদের এখন ৩০ শতাংশের বেশি পুঁজি নেই।

খান ব্রাদার্স: গত ৩ সেপ্টেম্বর খান ব্রাদার্স শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৮ টাকা ৩০ পয়সা। ওইদিন শেয়ারটি ২৯ টাকার ওপরে লেনদেন হয়। মাত্র ১১ কর্মদিবসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২১ টাকার নিচে নেমে গেছে। যারা কোম্পানিটির শেয়ার ওই সময়ে কিনেছেন, তাদের এখন ৩০ শতাংশের বেশি পুঁজি নেই। এর আগে ১৮ জুলাই খান ব্রাদার্সের শেয়ার ৩৯ টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। যারা ওই সময়ে শেয়ারটিতে বিনিয়োগ করেছেন, তাদের এখন অর্ধেক পুঁজি নেই।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিমার শেয়ারের দাপটে অন্যান্য শেয়ারের মতো এই শেয়ারেও চলছে ব্যপক সেল প্রেসার। বিনিয়োগকারীরা লোকসান দিয়েও এই শেয়ারটি বিক্রি করে বিমার শেয়ারে ঝুঁকছেন। তাঁরা বলছেন, বিমার শেয়ারে যখন মুনাফা তোলা শুরু হবে, তখন শেয়ারটি অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে। সর্বশেষ ২০২২ সালে খান ব্রাদার্স বিনিয়োগকারীদের ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর ২০২১ সালে কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি।

লিগ্যাছি ফুটওয়ার: গত ৬ আগস্ট লিগ্যাছি ফুটওয়ারের শেয়ার ১৩৬ টাকার ওপরে লেনদেন হয়। আজ সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার ৮৭ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। ৩১ কর্মদিবসে শেয়ারটির দর কমেছে ৩৬ শতাংশ। এরমধ্যে রূপালী ব্যাংক কোম্পানিটির ২০ কোটি টাকার সুদ মওকুফ করেছে। কিন্তু সুদ মওকুফের ভালো খবরও শেয়ারটির দর ধরে রাখতে পারেনি।

ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা শেয়ারটির দর খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই খবরে শেয়ারটির দর টানা পতনে রয়েছে। যার ফলে শেয়ারটিতে যারা বিনিয়োগ করেছেন, তারা এখন বড় লোকসানের মুখে পড়েছেন। সর্বশেষ ২০২১ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। তবে ২০২২ সালে কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি।

ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড: গত ৭ সেপ্টেম্বর ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৯ টাকা ৩০ পয়সা। মাত্র ৭ কর্মদিবসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৫.২০ টাকার নিচে নেমে গেছে। যারা কোম্পানিটির শেয়ার ওই সময়ে কিনেছেন, তাদের এখন ২০ শতাংশের বেশি পুঁজি নেই।