শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনভর সূচকের উঠানামা হলেও দিনশেষে সামান্য সূচকের দরপতন হয়েছে। তবে বিমা ও খাদ্য খাতের চমকে বড় পতন থেকে রক্ষা পেলো পুঁজিবাজার। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট।

সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনও। তবে পুঁজিবাজারের চলমান সংকটে যেমন লেনদেন বাড়াতে হবে তেমনি সূচকের টানা উত্থান ধরে রাখতে হবে। কারণ বেশ কিছু দিন ধরে পুঁজিবাজারে একটানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা সংকট রয়েছে। বিএসইসির যে কোন মুল্যে আস্থা সংকট দুর করতে হবে। কারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের দাবী জানিয়েছেন একাধিক বিনিয়োগকারীরা।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এদিন বিমা খাতের ৫৭টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩১টির, কমেছে ১৯টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে সাত কোম্পানির শেয়ারর দাম। বিমা খাতের পাশাপাশি খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে পুঁজিবাজার।

ডিএসইর দেওয়া তথ্য মতে, সোমবার বাজারে লেনদেন হওয়া ৩০০টি কোম্পানির মধ্যে ৬৭টির শেয়ারের দাম কমেছে। বিপরীতে বেড়েছে ৮১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৮৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ১ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ৫৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১২৮ পয়েন্টে।

এদিন ৩০০টি কোম্পানির ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৫টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। যা টাকার অঙ্কে ৪৪৬ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৩৫ কোটি ৯৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭০০ কোটি ৭৮ লাখ ৫১ হাজার টাকা। অর্থাৎ ক্রমাগতভাবে লেনদেন কমছে।

এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১.৮৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৮৩.৮৫ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১.৮৭ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ০.৫৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে একহাজার ৩৬১.৮৪ পয়েন্টে ও দুইহাজার ১২৮.৯১ পয়েন্টে।

আজ ডিএসইতে ৩০০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৭টির বা ২২.৩৩ শতাংশের দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ৮১টির বা ২৭ শতাংশের এবং ১৫২টির বা ৫০.৬৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইতে আজ ৪৪৬ কোটি ০২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা কম । আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৫৩৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকার।

এদিন পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৫.১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৯০.৯৬ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ২.৯৬ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৬.৮৪ পয়েন্ট ও সিএসআই ০.৮৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ১১৪.৭১ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৫৯.১৪ পয়েন্টে ও একহাজার ১৭০.৭৮ পয়েন্টে।

তবে সিএসই-৫০ সূচক ০.১১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে একহাজার ৩০৪.৩৯ পয়েন্টে। আজ সিএসইতে ১৫৪টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৩টির, কমেছে ৫৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের। এদিন সিএসইতে ৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।