শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: পুঁজিবাজারে পতন ঠেকাতে বিএসইসির দুই সভার সিদ্ধান্ত কী রোববারের বাজারে কী প্রভাব পড়বে এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আলোচনার শেষ নেই। কারণ পুঁজিবাজার ইস্যুতে বিএসইসি এখন কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবো। বেশ কিছুদিন ধরে একটানা দরপতনে অধিকাংশ বিনিয়োগকারীরা এখন আস্থা সংকটে ভুগছেন।

বিএসইসির প্রথম কাজ বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা ফেরানো। এ অবস্থার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার দেশের পুঁজিবাজারে কর্মরত অ্যাসেট ম্যানেজার এবং ফান্ড ম্যানেজারদের নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ বিএসইসির উদ্যোগে দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এর মধ্যে প্রথম সভায় আলোচনা হয়েছে: বর্তমান বাজার পরিস্থিতিসহ দেশের পুঁজিবাজারে বিদ্যমান মিউচুয়াল ফান্ড এর উন্নয়ন এবং পুঁজিবাজরে বিনিয়োগের নানাদিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিএসইসি’র কমিশনার ড. মিজানুর রহমান উপস্থিত সকল ফান্ড ম্যানেজার ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষা করে এবং সুষ্ঠ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

তেমনি অ্যাসেট ম্যানেজার এবং ফান্ড ম্যানেজারদের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ পুঁজিবাজারে মিউচুয়াল ফান্ডকে আরো জনপ্রিয় করতে নানা পদক্ষেপ ও কার্যক্রমের অনুরোধ জানান। এছাড়াও মিউচুয়াল ফান্ড সেক্টরে ইনকাম ট্র্যাক্স ও করের বিষয়ে সাম্প্রতিক আইনের ফলে একাধিকবার করের সমস্যা সমাধান হওয়ায় বিএসইসি ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ দেন তারা।

দেশের পুঁজিবাজার এবং মিউচুয়াল ফান্ড এর উন্নয়নে দেশের পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির উপর জোর দেন তারা। আগামীতে দেশের পুঁজিবাজারে মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আরো আগ্রহী করতে বিএসইসি ও অংশীজনের সাথে মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। ফান্ড ম্যানেজার ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ দেশের বাজারে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো এবং এই খাতকে আরো ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে নিজেদের সর্বাত্বক চেষ্টা ও সহযোগিতা থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন।

দ্বিতীয় সভার সিদ্ধান্তগুলো যে আলোচনা হলো: বন্ড ইস্যুর প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান নানা সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং এই প্রক্রিয়ার সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও বন্ড মার্কেট জনপ্রিয় না হওয়ার পেছনের কারণ এবং বিদ্যামান সমস্যাগুলো সমাধানের বিষয়ে সভায় সকলে মতামত দেন।

দেশের পুঁজিবাজারে শক্তিশালী বন্ডের বাজার প্রতিষ্ঠার জন্য সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের চিহ্ণিত করে তাদের বন্ডে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে হবে। এছাড়াও বৃহৎ করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থায়নের সুযোগ কাজে লাগাতে সচেতন ওআগ্রহী করতে কাজ করতে হবে বলে মতামত জানান আলোচকবৃন্দ।

আগামীতে দেশের পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন দেশের আর্থিক খাতের সাথে যুক্ত সকলের অংশীদারিত্বে ফলপ্রসু কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে বিএসইসি’র পক্ষ হতে অঙ্গীকার করা হয়।