শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি আরামিট লিমিটেডের শেয়ার দর ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গত ৮ আগষ্ট শেয়ারটির দর ২৬৬ টাকা ৬০ পয়সা থাকলেও আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে শেয়ারটির দর ৩১৯ টাকায় লেনদেন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মুলত এই শেয়ারের দর হঠাৎ করে বাড়ার কারণ হিসেবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিটির আয় যদিও কমেছে। তবে সামনে এ কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে। ভালো লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী এ কোম্পানির শেয়ারের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। তাই চাহিদা বাড়ায় এ শেয়ারের দর বাড়তে পারে। তবে কোম্পানিটির আয় কমায় এই বছর ভালো লভ্যাংশ দিতে পারে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তারা। তাই কোনো গুজবে কান না দিয়ে বুঝেশুনে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন তারা।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) আরামিট লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ১৩ পয়সা। আর সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ১ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪১ টাকা ৭৪ পয়সায়।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থ বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে আরামিট লিমিটেড। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ২৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৭ টাকা ৬৯ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৫২ টাকা ২৮ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৬০ টাকা ২৭ পয়সা।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থ বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে আরামিট লিমিটেড। এই হিসাব বছরে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ৬৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ৩ টাকা ৩৬ পয়সা ছিল। এছাড়া ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জন্য ৫০ শতাংশ, ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের জন্য ৫০ শতাংশ, ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য ৫০ শতাংশ, ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের জন্য ৪৫ শতাংশ ও ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জন্য ৭০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়।