শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের ৬ কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানি ছয়টি হলো: সিটি ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড এবং এবি ব্যাংক লিমিটেড। তবে এর মধ্যে তিন ব্যাংকের মুনাফায় সুবাতাস ও দুই কোম্পানির মুনাফায় ভাটা। এছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংকের লোকসানের পরিমান বেড়েছে। ডিএসই ও কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে।

সিটি ব্যাংক লিমিটেড: সিটি ব্যাংক লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল,২৩-জুন,২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ০৭ পয়সা।

অপরদিকে, ৬ মাসে (জানুয়ারি,২৩-জুন’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২৯ টাকা ৯৬ পয়সা।

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড: ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল,২৩-জুন,২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ৯৮ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি সমন্বিত লোকসান (ইপিএস) ছিল ৩৬ পয়সা।

অপরদিকে, ৬ মাসে (জানুয়ারি,২৩-জুন’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯৫ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি সমন্বিত লোকসান (ইপিএস) ছিল ৫৪ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ১০ টাকা ৯৪ পয়সা।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক: গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ঊচঝ) হয়েছে ১৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে আয় ছিলো ৩০ পয়সা। হিসাব বছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭৪ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে আয় ছিলো ৫০ পয়সা। এই হিসেবে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে।

সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক: সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড (এসবিএসি ব্যাংক) চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল,২৩-জুন’২২) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ঈড়হংড়ষরফধঃবফ ঊচঝ) হয়েছে ২৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ১০ পয়সা আয় হয়েছিল।

হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৩-জুন,২৩) ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ৩১ পয়সা (রিস্টেটেড)। গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৩ টাকা ২৫ পয়সা।

উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড: উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডের চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২৩) সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৬৪ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ২ টাকা। এ হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ০.৩৬ টাকা বা ১৮ শতাংশ কমেছে।

এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৩ মাসে (এপ্রিল-জুন’২৩) সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৯০ টাকা। আগের অর্থবছর একই সময় মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ১.৩৮ টাকা। এহিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ০.৪৮ টাকা বা ৩৫ শতাংশ কমেছে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮.৩১ টাকায়।

এবি ব্যাংক লিমিটেড: এবি ব্যাংক লিমিটেডের চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ৩১ পয়সা। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ২৩ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে আট পয়সা। শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকেই নয়, চলতি বছরের দুই প্রান্তিক জানুয়ারি-জুন ২০২৩ সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে।

চলতি বছরের অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৩ পয়সা। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ৪১ পয়সা। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে শেয়ার প্রতি আয় বেড়ে ২ পয়সা।

মুনাফা কমার প্রান্তিকে ৩০ জুন ২০২৩ সময়ে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ছয় পয়সা। যা ২০২২ সালের ৩০ জুন সময়ে ছিল ২৯ টাকা ৬৬ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদের মূল্যের পরিমাণও বেড়েছে।