মনির হোসেন , শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের কিছুটা দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে টানা চার কার্যদিবস পর পুঁজিবাজারে কিছুটা কারেকশন হয়েছে। তবে কারেকশন হলেও বাজার নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। কারণ বাজার একটানা উত্থানের পর কানেকশন স্থিতিশীল বাজারের লক্ষণ বলে মনে করছেন তারা। তবে নসামান্য সূচকের কারেকশন ঘটিয়ে দুর্বল কোম্পানির শেয়ার আকাশে উড়ছে।

অনেক সতর্ক করার পরও দুর্বল ও বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানিতে বিনিয়োগ থামছে না। বরং পুঁজিবাজারে সূচকের সামান্য উঠানামার সুযোগে বিতর্কিত কোম্পানির দৌরাত্ম্য বাড়ছে। আয়-মুনাফার সঙ্গে সঙ্গতিহীনভাবে দর বাড়ার কারণে বিনিয়োগ ঝুঁকিও বাড়ছে।  এদিকে দুর্বল শেয়ারের আগ্রহ থাকলেও ভালো মৌল ভিত্তি শেয়ারে অনাগ্রহ রয়েছে বিনিয়োগকারীদের। এখন প্রশ্ন বছরের পর বছর ভালো ডিভিডেন্ড (লভ্যাংশ) দেওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নেই বললেই চলে।

কারণ কি? দুর্বল ক্যাটাগরির শেয়ারে বিনিয়োগ করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাই কি কারসাজি চক্রকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছেন না? এই প্রশ্ন বিশ্লেষক, বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অনেকেরই। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট। তবে সকাল থেকে পুঁজিবাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল। যার ফলে সূচক ও লেনদেন নিন্মমূখী ছিল। এর আগে মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতিবার এবং রোববার টানা চার কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান হয়।

ডিএসইর তথ্য মতে, আজ পুঁজিবাজারে ৩৬৮টি প্রতিষ্ঠানের মোট ২৪ কোটি ৩৯ লাখ ৯৬ হাজার ২৩টি শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৯৩২ কোটি ৭১ লাখ ৫২ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯৩৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ২৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএস-৩০ সূচক ২ দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ দশমিক ২৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৬১ দশমিক ১৬ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৫২ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২০০ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৮৬ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে।

অপরদিকে সিএসইতে এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস রবিবার ১৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৬৫টি, কমেছে ৮০টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৬৯টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৬ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৮৪ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স ১ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ২ দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২২৩ দশমিক ৩১ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৮২ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৫৯ পয়েন্ট এবং সিএসই-৩০ সূচক ৩১ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩২০ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে এবং ১৩ হাজার ৪১১ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে।