শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজার দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না। দিন যতই যাচ্ছে লোকসানের পাল্লা ততই ভারী হচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কথায়ও আস্থা পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। এদিকে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।

সূচকের পাশাপাশি উভয় বাজারে কমেছে লেনদেন। অপরদিকে আজ অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এর ফলে উভয় বাজারে টানা দুই কার্যদিবস দরপতন হলো। আর ডিএসইতে দরপতন হলো তিন কার্যদিবস। এদিকে কয়েকদিন পর হতে যাচ্ছে ঈদ।

যাতে অন্য সবার ন্যায় বিনিয়োগকারীদেরও প্রয়োজন টাকা। কিন্তু ফ্লোর প্রাইসের কারনে দীর্ঘদিন ধরে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন বন্ধ হয়ে রয়েছে। এছাড়া যেসব কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসের উপরে ছিল, সেগুলো ধারাবাহিক পতনে রয়েছে। তাই চাইলেই বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রয়োজনে শেয়ার বেঁচে টাকা সংগ্রহ করতে পারছেন না।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মঙ্গলবার ডিএসইতে ৪৪২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের কার্যদিবস সোমবার হয়েছিল ৪৬৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬১৯৬ পয়েন্টে।

এছাড়া ডিএসইএস সূচক ২ পয়েন্ট কমে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩৪৩ পয়েন্টে এবং ২১৯৯ পয়েন্টে। আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৯৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৩৪টির এবং কমেছে ৭৮টির। আর শেয়ার দর পরিবর্তন হয়নি ১৮৩টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৮ লাখ টাকা শেয়ার ও ইউনিট। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৩১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ২২টির, কমেছে ৪৬টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৬৩টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮২৭৯ পয়েন্টে।