শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) গত আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) প্লাটফরম রেগুলেশন’ অনুমোদন দেয়। অনুমোদিত রেগুলেশন গেজেট আকারে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। গেজেট প্রকাশ হলে চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএসই প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান মজুমদার।

আজ বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ডিএসই প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এটিবি মার্কেট চালুর জন্য আমরা এক বছর আগে থেকেই পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েছি। এটিবির রেগুলেশন গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই এই মার্কেট চালুর দিন তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

এটিবিতে প্রাথমিক অবস্থায় মূলত ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি মার্কেটে থাকা কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন হবে। এজন্য গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ১৮টি কোম্পানিকে ওটিসি থেকে এটিবিতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় বিএসইসি।

গতবছরেই এটিবি মার্কেট নিয়ে রুলস প্রণয়ন করে বিএসইসি। কিন্তু মার্কেটটি কীভাবে পরিচালিত হবে, সেই রেগুলেশন পাশের বিষয়টি একবছর ধরে ঝুলে ছিল। এটিবিতে লেনদেন হবে ওটিসিতে থাকা কোম্পানির একটি বড় অংশ। এছাড়া বে-মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড, বিভিন্ন ধরনের বন্ড এবং তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ারও এই প্লাটফরমে লেনদেন হবে।

২০২১ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর এক নির্দেশনায় ওটিসি মার্কেট বাতিল করে বিএসইসি। ওটিসিতে থাকা ২৩টি কোম্পানিকে এসএমই বোর্ডে, ১৮টি কোম্পানিকে এটিবি বোর্ডে এবং ২৯টি কোম্পানিকে এক্সিট প্ল্যানের মাধ্যমে বাজার থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয় বিএসইসি। ইতোমধ্যে ওটিসিতে থাকা ৬টি কোম্পানি এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত হয়েছে। আর এটিবি বোর্ডে তালিকাভুক্তির জন্য অপেক্ষায় আছে ১৮টির অধিক কোম্পানি।

মূলত কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা ও সম্ভাবনা যাচাই করে প্রাথমিকভাবে এই তালিকা তৈরি করে বিএসইসি। আর যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা শেয়ারবাজারে আর থাকতে চায় না, তারা বাজার থেকে বের হয়ে যেতে পারবে। সেক্ষেত্রে এক্সিট প্ল্যান আদেশ প্রযোজ্য হবে, যা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করবে।