শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ঈদ পরবর্তী পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। সূচকের সাথে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও কমেছে। তবে লেনদেন ও সূচক কমলেও বস্ত্র খাতের শেয়ারের একচেটিয়া প্রভাব ছিল। আজ অধিকাংশ বস্ত্র খাতের শেয়ারের দর বাড়ছে। তেমনি লেনদেনে এগিয়ে রয়েছে বস্ত্র খাত।

ক্যাল সিকিউরিটিজের সিইও রাজেশ সাহা বলেন, ‘বস্ত্র খাতে আমাদের যে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা তা ১০ মাসেই পূরণ হয়ে গেছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় যেটা সহজে অর্জন করা সম্ভব নয় এমন। যেহেতু লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে সুতরাং এই সেক্টরটা বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ। এছাড়া সারা বিশ্বে সুতার দাম কমেছে। দীর্ঘ দিন থেকেই এ সেক্টরে একটা র‌্যালি আসবে ধরা হচ্ছিল, সেটা কিছুটা দেখা যাচ্ছে।’

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১.৪৭ পয়েন্ট বা ০.১৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৫৫.৪৮ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২.২৬ পয়েন্ট বা ০.১৬ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯.৬২ পয়েন্ট বা ০.৪১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৮৫.৬৩ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২৮৪.১৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৬৭৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১০৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৭৮৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকার।

ডিএসইতে আজ ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৮টির বা ৩৩.৬০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ২০৯টির বা ৫৪.৮৬ শতাংশের এবং ৪৪টির বা ১১.৫৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৬৪.৩৮ পয়েন্ট বা ০.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৮৭.৪৫ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৭১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৯২টির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির দর। আজ সিএসইতে ১৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।