শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ড্রাগন সোয়েটারের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করছে। ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড। আজ কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে কোম্পানির ঘোষিত লভ্যাংশে বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়েছেন । কোম্পানিটি লভ্যাংশের নামে কাগজ ধরিয়ে দিচ্ছে।

জানা গেছে, সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১টাকা ২৩ পয়সা। আর ২০২১ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৭২ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ছিলো ১৮ টাকা ৯৮ পয়সা।

২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর থেকে কেবল এক বছর বোনাসের সঙ্গে কিছু নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়েছিল। বাকি প্রতিবছরই লভ্যাংশ হিসেবে দেয়া হয় বোনাস শেয়ার। এর মধ্যে তালিকাভুক্তি ও তার পরের বছর ১৫ শতাংশ করে, ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ এবং ২০২০ সালে দেয়া হয় ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার। মাঝে ২০১৮ সালে ২০ শতাংশ বোনাসের পাশাপাশি দেয়া হয় ৫ শতাংশ নগদ। অর্থাৎ সে বছর শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ পান বিনিয়োগকারীরা।

করোনার বছরে কোম্পানিটির আয় আগের বছরের আয়ের প্রায় সমান। তবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য কমেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা। গত মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৯২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৭১ পয়সা।

তবে শেষ প্রান্তিকে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির আয় গত বছরের চেয়ে কম হয়েছে। এবার এই আয় হয়েছে ৩০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫২ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার কারণে সম্পদমূল্য কমে গেছে। গত বছর শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১৮ টাকা ৯৮ পয়সা। সেটি কমে এবার দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৭২ পয়সা।

কোম্পানিটির লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৪ নভেম্বর। অর্থাৎ যারা লভ্যাংশ নিতে চান, তাদের সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। এই লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরই দেখা গেছে লভ্যাংশ ঘোষণার পর ড্রাগনের শেয়ার দর পড়ে যায়, পরে লভ্যাংশ ঘোষণার আগে আগে আবার বাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

গত এপ্রিলেও কোম্পানিটির শেয়ার ১০ টাকার নিচে লেনদেন হয়েছে। সেখান থেকে উত্থান হয়ে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ওঠে ২৪ টাকা ৮০ পয়সায়। তবে গত দুই সপ্তাহে কিছুটা সংশোধন হয়ে দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১০ পয়সা।