শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার লক্ষে গঠিত ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড-এ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো এই পর্যন্ত ৩১০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিগুলো ফান্ডটিতে অর্থ জমা দিতে পারবে।

কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে বিএসইসি কোম্পানিগুলোকে ৩১ আগস্টের মধ্যে অবণ্টিত বোনাস ও ক্যাশ ডিভিডেন্ড জমা দিয়েছিল। কিন্তু কোম্পানিগুলো আরও ১৫ দিন সময় চেয়েছে এবং তাদেরকে সেই সময় দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, আজ (০৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ২৪৩টি কোম্পানি হিসাব জমা দিয়েছে। বাকি আছে আরও ৮০টি কোম্পানি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নথিপত্র অনুযায়ী ক্যাশ ডিভিডেন্ডের বাইরে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৮৬ কোটি ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৯১২ টাকা সমমূল্যের বোনাস শেয়ার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। কোম্পানিগুলোর সবগুলো এখনও হিসাব দেয়া শেষ করতে পারেনি।

সবগুলো কোম্পানির কাছ থেকে হিসাব এলে শেষ পর্যন্ত অবণ্টিত ডিভিডেন্ডের তহবিল আকার ৫ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে মনে করছেন বিএসইসির এক পদস্থ কর্মকর্তা।

এর আগে গত ২৫ অক্টোবর বিএসইসি যে প্রাথমিক হিসাব করেছিল, সেখানে বোনাস শেয়ার ১৪ হাজার কোটি টাকা সমমূল্যের বোনাস শেয়ার পাওয়া যাবে বলে হিসাব কষেছিল। আর ক্যাশ মিলিয়ে পাওয়ার আশা ছিল ২১ হাজার কোটি টাকার সমান। তখন কেবল ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির ৮ কোটি ৯১ হাজার ৮০২টি অবণ্টিত বোনাস শেয়ারের খোঁজ মিলেছিল।

এরপর কোম্পানিটি একটি শেয়ারের বিপরীতে দুটি বোনাস শেয়ার ইস্যু করেছে। এই হিসাবে শেয়ারসংখ্যা হওয়ার কথা ২৬ কোটি ৭৩ লাখ ৩২ হাজার ৪০৬টি। কিন্তু জমা পড়েছে কেবল ৩৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭১২টি।

কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবণ্টিত বোনাস ডিভিডেন্ড ও ক্যাশ টাকা কেউ পেলে কোম্পানিকে জানাতে বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর শেয়ারমালিকরা যোগাযোগ করলে তাদেরকে তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

একই ঘটনা ঘটেছে স্কয়ার ফার্মার ক্ষেত্রেও। ২৫ অক্টোবরের তালিকা অনুযায়ী ২ কোটি ৯২ লাখ ৭ হাজার ৯৭২টি শেয়ার আসার কথা তহবিলে। আসেনি একটিও। স্কয়ারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর শেয়ারমালিকরা এসে তাদের দাবি জানিয়েছেন আর যাচাই শেষে সেগুলো মালিকদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এভাবে প্রায় সব কটি কোম্পানি থেকেই প্রাথমিক হিসাবের চেয়ে কম টাকা ও শেয়ার পাওয়া যাচ্ছে।

বিএসইসির এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রথম দিকে আমরা এই ফান্ডের জন্য ২১ হাজার কোটি টাকা ক্যাশ ডিভিডেন্ড অবণ্টিত অবস্থায় পেয়েছিলাম। পরবর্তীতে কোম্পানিগুলোকে এ বিষয়ে চিঠি দেয়ার পর তারা অনেকগুলো বিষয়ে স্পষ্ট করার পর আমরা আশা করছি এই তহবিলে প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা জমা হতে পারে।’