শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সার্ভিল্যান্স বিভাগের সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্ভিল্যান্স বিভাগের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে শেয়ারবাজার সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে প্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি, ব্রোকারেজ হাউজে একই ধরনের ইউনিফর্ম ব্যাকঅফিস সফটওয়্যার ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ সকল প্রকার কারসাজি রোধে সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রোববার (২২ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে বিএসইসির কমিশনার অধ‌্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে বিএসইসির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ সার্ভিল্যান্স বিভাগের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, ডিএসইর পক্ষে ব্যবস্থপনা পরিচালক তারিক আমিন ভুঁইয়াসহ সার্ভিল্যান্স বিভাগের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষেয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বর্তমানে শেয়ারবাজারের ট্রেন্ড দুই পক্ষের আলোচনায় তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে, যেসব কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ, শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) খারাপ থাকা সত্ত্বেও শেয়ারের দাম বাড়ছে, তাদের বিরুদ্ধে করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর তথ্য কীভাবে আরও সহজে পাওয়া যায় এবং তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থাপনাকে কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ওয়েবসইট সচল রাখা ও তথ্য হালনাগাদ করার বিষয়টি আলোচনায় তুলে ধরা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উভয় পক্ষের আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে প্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বাস্তবায়নের ওপর। কারণ, বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায়, একাধিক কোম্পানি বিভিন্ন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করে থাকে। তবে পরে দেখা যায়, সেটার প্রকৃত বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

তাই, শেয়ারের মূল্য বাড়ানোর লক্ষ্যে কোম্পানি এ সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করছে কি না, তা যাচাই করে দেখা হবে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রকাশিত সংবেদনশীল তথ্যের বাস্তবায়নের হালনাগাদ অবস্থা নির্ধারিত সময় পর পর অবহিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি কোম্পোনির প্রকাশিত সংবেদনশীল তথ্যের সঙ্গে বাস্তবায়নের হালনাগাদ অবস্থার মিল খুঁজে না পাওয়া যায়, তখন সে বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ব্রোকারেজ হাউজের সমন্বিত ব্যাংক হিসাবে তহবিল ঘাটতি ও গরমিলের বিষয়টি আলোচনা উঠে এসেছে। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, অনেক ব্রোকার তাদের বিনিয়োগকারীদের টাকা দিতে পারছে না। এর জন্য ইউনিফর্ম ব্যাকঅফিস সফটওয়্যার ব্যবহার দ্রুত নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্বরোপ করা হয় আলোচনায়।

ইনসাডারদের জন্য একটি ডাটাবেস তৈরি করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং যেকোনো ধরনের কারসাজি সার্ভিল্যান্স কার্যক্রমের মাধ্যমে চিহ্নিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।