শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা:  আবারো দুর্বল কোম্পানিগুলো ঘিরে কারসাজি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যেখানে ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানিগুলোর শেয়ার তলানিতে পড়ে রয়েছে সেখানে বীমা খাতের দুর্বল কোম্পানিগুলোর শেয়ার নিয়ে কারসাজি চক্র মেতে উঠছে। দুর্বল বীমা খাতের শেয়ার নিয়ে মেতে উঠেছে এক শ্রেণীর অতি মুনাফালোভী বিনিয়োগকারীরা। এসব কারসাজি চক্র থেকে দূরে থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে সচেতন হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

বাজারে গুজব রয়েছে, কারসাজি চক্রের মুল হোতা মিজানুর রহমান এ শেয়ার নিয়ে কারসাজিতে মেতে উঠছেন। বিষয়টি তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। এর আগেও তিনি বিভিন্ন শেয়ার নিয়ে কারসাজিতে জড়িত ছিলেন।

এদিকে পুঁজিবাজারে লেনদেন স্বাভাবিক হতেই কারসাজির সঙ্গে জড়িতরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। লোকসানী প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সকে ঘিরেই চলছে কারসাজি। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি ৪ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। শুধু তাই নয় প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি লোকসান করেছে। তবুও গত ৫ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২০ টাকা।

ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৮.৪০ টাকা। পরবর্তীতে দর ওঠানামার মধ্যে বুধবারে সর্বোচ্চ ৬৩ টাকায় বিক্রেতাশূণ্য অবস্থায় লেনদেন হয়েছে। গত তিন চার কার্যদিবসে কোম্পানিটির বিক্রেতাশূণ্য অবস্থায় লেনদেন হলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ঢাকা স্টক একচেঞ্জের কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এমনকি দরবৃদ্ধির পেছনে কোন কারণ আছে কিনা তাও জানতে চায়নি।

বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এর আগেও বেশ কিছু বিমা কোম্পানির দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে দেখা গেছে। মাত্র ১২ টাকার শেয়ার অল্প সময়ের ব্যবধানে ৯০ টাকাও হতে দেখা গেছে। কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের একই ধারা দেখা গেছে। বিনিয়োগকারীদের শেষ পর্যন্ত পস্তাতে হবে। কারণ কোম্পানির আয় ও লভ্যাংশ কোনভাবেই এভাবে দরবৃদ্ধিকে সমর্থন করে না।

ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি-মার্চ প্রথম প্রান্তিকে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের লোকসান দাঁড়িয়েছে ১৪ পয়সা। গত বছরের এই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৩৬ পয়সা। সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২ শতাংশ বোনাস ও ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।