শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: অভিযুক্ত সিন্ডিকেটের কাছেই এখনো জিম্মি শেয়ারবাজার। চিহ্নিত এই কারসাজি সিন্ডিকেট কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছে না। দিনের পর দিন একই ধরনের শেয়ার কারসাজি করে চলছে। ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের কারসাজির ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনে যেসব ব্যক্তির নাম এসেছিল তারা এখনো নিয়ন্ত্রক কারসাজির।

প্রতিকারে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষও কোনো কিছুই করতে পারছে না। মামলা, জরিমানা করার পরও তাদের কারসাজি থামছে না। শেয়ারবাজারে এখন এদের পরিচয় শেয়ার কারসাজির মাফিয়া সিন্ডিকেট হিসেবে। এই সিন্ডিকেটের শীর্ষ দশজন নিয়ন্ত্রণ করছেন সবকিছু।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মামলার বিচার না হওয়ায় বেপরোয়া এসব ব্যক্তি। জালিয়াতি, কারসাজি থামাতে হলে শেয়ার কারসাজির প্রমাণ পেলে এদের আজীবন নিষিদ্ধ করা উচিত। এ ছাড়া ক্ষুদ্র কোম্পানির শেয়ার আপলোডের ক্ষেত্রে বিএসইসির আরও সতর্ক হওয়া উচিত।

পুঁজিবাজার নিয়ে শক্তিশালী সিন্ডিকেট খেলছে। তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে পুরো বাজার। বিষয়টি সরকারের গোচরে থাকলেও এই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার একের পর এক উদ্যোগ নিলেও তা সফল হয়নি। ফলেগত দুই মাস ধরে ১০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে বড় ধরনের কারসাজিতে লিপ্ত কয়েকটি সিন্ডিকেট চক্র।

এরা পুঁজিবাজার থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এর সাথে বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। এরা পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করতে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এসব ষড়যন্ত্র শুরু করছে। এর পেছনে কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজ, ডিএসই ও বিএসইসি কিছু লোক জড়িত রয়েছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কোনো অসাধু চক্র পুঁজিবাজার নিয়ে আবার কারসাজিতে মেতে উঠতে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ব্রোকারেজ হাউজের মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের সজাগ দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ১৯৯৬ কিংবা ২০১০ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারি ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন কোনোভাবেই না ঘটে সে দিকে নজর রাখতে বলা হয়।

তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি মানুষের নেতিবাচক মনোভাবে সৃষ্টিতে পুঁজিবাজার কারসাজির আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তারা বলেছেন, সরকারের প্রতিটি সংস্থাকে সজাগ থাকতে হবে। বিশেষ করে পুঁজিবাজারে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাকে সার্বক্ষণিক সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। যেন কোনো কোম্পানির শেয়ার অতিমূল্যায়িত না হয়। এতে যেন কেউ হস্তক্ষেপ করতে না পারে। এমনকি প্রযুক্তিগত দিকগুলোও নজরে রাখতে বলা হয়েছে।

লিবরা ইনফিউশন: লাগামহীন দর বাড়ছে লিবরা ইনফিউশনের শেয়ারের। এর পেছনে কারসাজি চক্র কাজ করছে। আর সে কারসাজিতে কোম্পানিটির চেয়ারমান ও প্রভাবশালী একজন পরিচালক ও সিইও নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর মুল হোতা হিসেবে কাজ করছে এক ব্রোকারেজ হাউজের মতিঝিল শাখার ব্যবস্থাপক। তাদের নেতৃত্বেই এক মাসের ব্যবধানে ৫০০ টাকার শেয়ার এখন এক হাজার ২২৫ টাকায় হাতবদল হচ্ছে।

পুঁজিবাজারে ঐ চক্রটি গুজব ছড়িয়ে যে লিবরা ইনফিউশন শেয়ার ২ হাজার টাকায় যাবে। আর এ কোম্পানির শেয়ারে ভাল ইপিএস ও ডিভিডেন্ড আসছে। এখন বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন এ চক্রটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোন চিহ্রিত করতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্রুত তদন্ত করা উচিত বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তা না হলে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী বড় ক্ষতির স্বীকার হবেন।

লিবরা ইনফিউশনের শেয়ার দর গত ১৭ কার্যদিবস বা এক মাসে ৬৪৭ টাকা বা ১২৮ শতাংশ বেড়েছে। যার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, চলতি বছরের ২৯ মে থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত এ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫০৫.৮০ টাকা থেকে ১১৫৩.৩০ টাকায় পৌঁছায়। অর্থাৎ শেষ ১৭ কার্যদিবস বা এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬৪৭.৫০ টাকা বা ১২৮ শতাংশ বেড়েছে।

কোম্পানিটির শেয়ার দর এভাবে বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে এর কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ দেয় ডিএসই। কিন্তু ডিএসইর নোটিশের জবাবে গত ২৭ জুন কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শেয়ার দর এভাবে বাড়ার জন্য তাদের কাছে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

মুন্নু জুট স্ট্যাফলার্স: লাগামহীন দর বাড়ছে মুন্নু জুট স্ট্যাফলার্সের শেয়ারের। এর পেছনে কারসাজি কাজ করছে। আর সে কারসাজিতে কোম্পানিটির প্রভাবশালী একজন পরিচালক নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার নেতৃত্বেই চার মাসের ব্যবধানে ৫৭০ টাকার শেয়ার এখন তিন হাজার ৪৩৪ টাকায় হাতবদল হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তার পরও নিয়ন্ত্রণহীন কোম্পানিটি শেয়ারদর।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, পুঁজিবাজারের প্রকৌশল খাতের কোম্পানি মুন্নু জুট স্ট্যাফলার্সের শেয়ার বর্তমানে উচ্চ বিনিয়োগ ঝুঁকিতে রয়েছে। কোম্পানিটির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৮৬৪ পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে আগামী দুই বছরে রুগ্ণ কোম্পানিটির অবস্থার পরিবর্তন হবে, এমন কোনো পদক্ষেপও নেই।

এমনকি বড় বিনিয়োগ বা আয়-মুনাফা বাড়ানোর জন্য কোনো সিদ্ধান্ত অদ্যাবধি নেওয়া হয়নি। তার পরও শেয়ারদর বৃদ্ধি স্বাভাবিক নয়। স্বল্প মূলধনি ও দরবৃদ্ধি নিয়ে বিতর্কের পরও শুধু ‘অতীতে ভালো মানের কোম্পানি ছিল এমন তথ্য ছড়িয়ে কারসাজি করে এখন দরবৃদ্ধির শীর্ষ কোম্পানির তালিকায় মুন্নু জুট।

উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি পাঁচ বছর ধরে নামমাত্র মুনাফা করছে। স্বল্প মূলধনি ওই কোম্পানিটির মোট মাত্র ৪৬ লাখ শেয়ারের ৫৫ দশমিক ৯০ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে রয়েছে। আর কারসাজির খবরে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর বর্তমানে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে কোম্পানিটির ৩৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

বিডি অটোকার্স: পুঁজিবাজারে কারসাজি চলছে। গত এক মাস ধরে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ছে প্রায় দ্বিগুনের কাছাকাছি। তেমনি অব্যাহতভাবে শেয়ার দর বেড়েই চলেছে প্রকৌশল খাতের বাংলাদেশ অটোকার্সের (বিডি)। বিরতীহীনভাবে বাড়ার কারণেই বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ার দর সর্বোচ্চ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে বিডি অটোকার্সের শেয়ার দর ১০৯.১০ টাকা বা ৪২.৩০ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৭৭ লাখ ৪৭ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার।

বিডি অটোকার্সের শেয়ার দর অব্যাহতভাবে বাড়ার কারণে চলতি মাসে দুই বার কোম্পানিটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ডিএসই। ডিএসইর নোটিশের জবাবে গত ৪ জুন ও ২১ জুন কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ডিএসইকে জানানো হয়েছে, শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণে তাদের কাছে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

ডিএসইর নোটিশের পরও বিরতীহীনভাবে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েই চলেছে। গত ৩০ মে থেকে চলতি মাসের ২৮ জুন কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১৩.৯০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৬৭ টাকায় পৌঁছায়। অর্থাৎ এক মাস বা ১৭ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৫৩.১০ টাকা বা ২২২ শতাংশ।

মুন্নু সিরামিকস: লাগামহীন দর বাড়ছে মুন্নু মুন্নু সিরামিকসের শেয়ারের। এর পেছনে কারসাজি চক্র কাজ করছে। আর সে কারসাজিতে কোম্পানিটির প্রভাবশালী একজন পরিচালক নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার নেতৃত্বেই এক মাসের ব্যবধানে মুন্নু সিরামিকসের শেয়ার দর এখন দ্বিগুনের বেশি। বিষয়টি তদন্ত করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তার পরও নিয়ন্ত্রণহীন কোম্পানিটি শেয়ারদর।

এর আগে মুন্নু সিরামিকসের কাছে সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিকহারে শেয়ার দর বাড়ার কারণ জানতে চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। জবাবে দর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত কয়েক কার্যদিবস ধরে বাড়ছে এ কোম্পানির শেয়ার দর। গত ৩০ মে এ শেয়ারের দর ছিলো ১৫৩.১০ টাকা। আর ২৮ জুন এ শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ৩০৫ টাকায়।

আজিজ পাইপস: লাগামহীন ভাবে বাড়ছে আজিজ পাইপস। আর কারসাজির সাথে খোদ কোম্পানির সিইও সহ একটি ব্রোকারেজ হাউজ জড়িত। কোম্পানির ইশারায় অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ছে আজিজ পাইপের শেয়ার দর।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত কয়েক কার্যদিবস ধরে বাড়ছে এ কোম্পানির শেয়ার দর। গত ৩১ মে এ শেয়ারের দর ছিলো ১৩১.৭০ টাকা। আর ২৮ জুন এ শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ১৯৬ .৫০ টাকায়। প্রায় আজিজ পাইপের শেয়ার দর এক মাসের ব্যবধানে ৮৫ শতাংশ বাড়ছে।

ফার্মা এইডস: ফার্মা এইডের শেয়ার দর টানা বাড়ছে। এর পেছনে বড় কারসাজি চক্র জড়িত। পুঁজিবাজারে নানা গুজব ছড়িয়ে এ শেয়ারের দর টানা বাড়াচ্ছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত কয়েক কার্যদিবস ধরে বাড়ছে এ কোম্পানির শেয়ার দর। গত ৩০ মে এ শেয়ারের দর ছিলো ৪৪৩.৬০ টাকা। আর ২৮ জুন এ শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ৬৮৮ .৬০ টাকায়। গত এক মাসের ব্যবধানে শেয়ার দর বাড়ছে ২৪৫ টাকা। এদিকে মাসের ব্যবধানে ৬০ শতাংশের শেয়ার দর বাড়ছে।

এদিকে যেসব কোম্পানি নিয়ে কারসাজির অভিযোগ রয়েছে, সবগুলোরই শেয়ার সংখ্যা কম। এর মধ্যে স্টাইলক্র্যাফটের ৯ লাখ ৯০ হাজার, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ৯ লাখ ৯৪ হাজার, লিবরা ইনফিউশনের ১২ লাখ ৫২ হাজার, মডার্ন ডায়িংয়ের ১৩ লাখ ৬৮ হাজার, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজের ১৩ লাখ ৯৩ হাজার, জুট স্পিনার্সের ১৭ লাখ,

রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের ২০ লাখ, নর্দান জুটের ২১ লাখ ৪৩ হাজার, অ্যাম্বি ফার্মার ২৪ লাখ, সোনালী আঁশের ২৭ লাখ ১২ হাজার, ফার্মা এইডের ৩১ লাখ ২০ হাজার, জেমিনি সি ফুডের ৩৭ লাখ ১৩ হাজার, বিডি অটোকারসের ৩৮ লাখ ৬৩ হাজার, রেকিট বিনকিজারের ৪৭ লাখ ২৫ হাজার, কে অ্যান্ড কিউর ৪৯ লাখ তিন হাজার, শ্যামপুর সুগারের ৫০ লাখ, আজিজ পাইপের ৫০ লাখ ৯৩ হাজার

বিষয়টি নিয়ে কথা বললে অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারে যারা কারসাজি করে, তাদের নজর থাকে স্বল্প মূলধনি ও কম শেয়ার রয়েছে এমন কোম্পানির দিকে। কারণ এসব কোম্পানি অপেক্ষাকৃত কম পুঁজি নিয়ে তারা গেম করতে পারে। আর তাদের ফাঁদে পা দেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সর্বশেষ তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ ব্যাপারে বিএসইসির হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এদিকে বিষয়টি জানতে বিএসইসিতে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কিছু কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি হচ্ছে মাঝেমধ্যে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজ আমরা চিহ্রিত করছি।

বিষয়টি নিয়ে ২০১০ সালে শেয়ারবাজার কারসাজি তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে বলেন, শেয়ারবাজারে চিহ্নিত কিছু ব্যক্তি কারসাজিতে জড়িত। এরা বিভিন্ন পন্থা ব্যবহার করে এই অনিয়ম করে যাচ্ছে। এসব অপরাধ দমনে কঠোর না হলে তারা থামবে না। আমার প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে শাস্তির সুপারিশ করেছিলাম।

অধিকতর তদন্ত করতে সুপারিশ করা হয়েছিল। কিছু তদন্ত পরে কমিশন করেছে। তবে শাস্তি দেওয়া হয়নি কাউকে। শুধু জরিমানা করে এদের ঠেকানো যাবে না। প্রয়োজনে শেয়ারবাজারে কাউকে নিষিদ্ধ করতে হবে।