শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর মন্দার পর পুঁজিবাজারে প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে। শেয়ারদরের সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বা ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হয়েছে। ফলে পুঁজিবাজারে লেনদেনের পালে হাওয়া লেগেছে। প্রায় প্রতিদিনই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে লেনদেনের গতি। গত সপ্তাহের শুরু থেকেই লেনদেনের শেয়ার ক্রয়ের চাপ বাড়লে সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায়।

মাঝে কয়েকবার বিক্রির চাপ এলেও তা সূচকে সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। এছাড়া বড় ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তাই পুঁজিবাজারকে গতিশীল করে তুলেছে। এতে করে নির্বাচনের পরও বাজারে নেতিবাচক গুজব অকার্যকর হয়ে গেল। আসলে প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীরাই বাজারের নিয়ন্ত্রক। তারা যেভাবে চায় বাজার সেভাবে চলে।

সপ্তাহজুড়ে ছোট বড় সব খাতেই শেয়ার ক্রয়ের চাপ ছিল। তবে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল ব্যাংক, আর্থিক খাত ও ওষুধ ও রসায়ন এবং বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর। যার ফলে বিদায়ী সপ্তাহে সূচকের উত্থানে টাকার পরিমাণে লেনদেনও বেড়েছে। সপ্তাহটিতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সপ্তাহটিতে ১৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার বাজার মূলধন বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল৭ লাখ ৫৬ হাজার ১০৭ কোটি টাকা। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭২ হাজার ৫২৬ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ১৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা বেড়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ৮ হাজার ৪৭৫ কোটি ২০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৪ হাজার ৫৮৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৩ হাজার ৮৯০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৮৭ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ১৩৮ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬ টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪০ টির, কমেছে ৩৮ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮ টির শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।