শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা:  আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সিইও ও এমডি আরিফ খান বলেন, বছরের শুরুতে পুঁজিবাজারে যে তারল্য সঙ্কট ছিল তা যথেষ্ট উন্নত হয়েছে বলে জানিয়েছেন । ২০১৮ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক ফলাফল নিয়ে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল মন্দ ঋণের পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। একই সঙ্গে লোন এবং ডিপোজিটের স্থিতিশীল ও দীর্ঘস্থায়ী প্রবৃদ্ধি। অপরদিকে পরিচালন প্রক্রিয়ায় উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের কারণে পরিচালন ব্যয় যথেষ্ট পরিমিত হয়েছে এবং কোম্পানির সামগ্রিক দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সফল আর্থিক ফলাফল ছাড়াও আমরা সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রেখেছি।

আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড ২০১৮ সালের প্রথম নয় মাসে ১৮২ কোটি ১৫ লাখ টাকা কর পরবর্তী মুনাফা অর্জন করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি।একই সময় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস ) হয়েছে ৪ টাকা ৮৩ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৯০ পয়সা।

আলোচিত সময়ে আইডিএলসি মূলধন অনুপাতে আয় এবং সম্পদ অনুপাতে আয় যথাক্রমে ১৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। যা বিগত বছরের একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ২২ দশমিক ৯ শতাংশ ও ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

২০১৮ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের শেষে শেয়ার প্রতি বুক ভ্যালু ৩৫ টাকা ২৪ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৩২ টাকা ১৭ পয়সা।

বিগত সময়ের লোন বুকের প্রবৃদ্ধির মূল নিয়ামক ছিল কর্পোরেট পোর্টফোলিও। যা গত ১২ মাসে ৩৫ শতাংশ বেড়ে কোম্পানির মোট পোর্টফোলিওর ২২ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়েছে।তবে কোম্পানির মোট পোর্টফোলিওর ৪১ দশমিক ৮৩ শতাংশ অর্থাৎ সিংহভাগ এস এম ই লোন,এরপরই আছে কনজ্যুমার লোন যার পরিমাণ মোট পোর্টফোলিওর ৩৩ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং বাকি ২ শতাংশ মার্জিন লোনের অন্তর্ভুক্ত। যা গত বছর এই সময়ে ছিল ৩ শতাংশ। কোম্পানির নন পারফর্মিং লোন ১৬ বেসিস পয়েন্ট কমে ২০১৮ এর তৃতীয় প্রান্তিকে হয়েছে ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। যা গত বছর এই সময়ে ছিল ২ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

কোম্পানির ক্যাপিটাল মার্কেট সাবসিডিয়ারিজগুলোর বছর ওয়ারী নিট আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যার মূল কারণ ছিল পুঁজিবাজারের আয়ের বৃদ্ধি। কোম্পানির অন্যতম সাবসিডিয়ারি আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড “অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট” লাইসেন্স পাওয়ায় কোম্পানি ভবিষ্যৎ আয়ে আরও প্রবৃদ্ধি আশা করছে।

আরিফ খান বলেন, ২০১৮ তে স্বল্পসংখ্যক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমরা অন্যতম যারা মার্কেট নিম্মমুখী থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ঋণদান কর্মকান্ডে সাফল্য ধরে রেখেছি এবং এ সাফল্যের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল সচেতন এবং সক্রিয়ভাবে ডিপোজিট পোর্টফোলিও বৃদ্ধি। ডিপোজিট পোর্টফোলিও এর বছর ওয়ারী প্রবৃদ্ধি ১৮ শতাংশ।যা আমাদের সামগ্রিক ফান্ডিংয়ের ৮৩ শতাংশ। মূলত ২০১৭ সালের শুরু থেকেই সার্বিক তারল্য ব্যবস্থাপনায় যথাযথ প্রস্তুতিই এই সাফল্যের পিছনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বলে জানান তিনি।