শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: মুদ্রানীতির ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করছে পুঁজিবাজারে ,মুদ্রানীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে আতঙ্ক ছিল তা কেটে গেছে।  শিগগিরই লেনদেন হাজার কোটি টাকায় গড়ে যাবে। তেমনি মুদ্রানীতি ঘোষণার শঙ্কা কাটিয়ে অবশেষে ঘুরে দাঁড়ালো পুঁজিবাজার। গত কয়েক দিন ধরে মুদ্রানীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করছিল।

বাজার ফের দীর্ঘমেয়াদি মন্দায় পড়বে কি-না এমন প্রশ্নও দেখা দিয়েছিল অনেকের মনে। যদিও মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারের জন্য নেতিবাচক কিছু থাকবে না বলে আগেই আশ্বাস দিয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংকসহ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।

পাশাপাশি এবারের মুদ্রানীতিতে সঞ্চয়পত্রের সুদ হার দেশে বিদ্যমান অন্যান্য সুদ হারের সাথে নমনীয় পর্যায়ে আনার বিষয়ে তাগিদ দেয়া হয়েছে। এটির ইতিবাচক প্রভাবই আজকের বাজারে পড়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তবে নতুন মুদ্রানীতি পুঁজিবাজারের উপর কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা? শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্নের জবাবে ফজলে কবির বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব হলো যেসকল ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি আছে শেয়ারমার্কেটে তাদেরকে অবজার্ভ করা, তাদের অপারেশন মনিটরিং করা। তারা এখন এক্সপোজার লিমিটের মধ্যেই আছে। তবে যদি আমরা কোনো ইনডিকেশন পাই যে, কোনো ব্যাংকের এক্সপোজার হাই হয়েছে সেক্ষত্রে আমরা আইনি অনুশাসন দিয়ে লিমিটের মধ্যে নিয়ে আসি।

তিনি বলেন, এই বিষয়টি ছাড়া আমরা মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারের সাথে আর সংশ্লিষ্টতা দেখি না। আর কোনো পুঁজিবাজার নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তো আছেই। তারা সার্বক্ষণিক এই বাজারে বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণে রেখেছে। তাই এটি পুরোপুরি বিএসইসির বিষয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তবে ব্যাংক খাতের আজ উত্থানে পুঁজিবাজারের জন্য খুবই কল্যাণকর বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা। যা বাজারের জন্য একটি সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে বলে তারা মনে করেন। কেননা এ খাতের ওপরই বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নির্ভর করে করে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তাদের অভিমত, এতোদিন যা হবার তা শেষ, এখন অন্তত যেনো নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এই উদীয়মান বাজারটিকে ধরে রাখার জন্য যা যা করনীয় তার সবটুকু আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে করে যান।কারণ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এতোদিন জীবন বাজি রেখে যে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন, তার সুফল এখন বইতে শুরু করেছে, এটি যাতে দীর্ঘস্থায়ী হয় এখন সেটাই তাদের প্রত্যাশা। কারো গাফিলতিতে এর ব্যত্যয় ঘটলে বাজার আবার দীর্ঘমেয়াদে আস্থার সংকটে পড়বে যা কারোই কাম্য নয়।