share lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে কয়েকটি কোম্পানি ঘিরে লেনদেন বাড়ার পুর্বাভাস দেখা গেছে। এসব কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক সহ সাধারন বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগ করছেন। মুলত বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীলতার আভাসে এসব কোম্পানিতে সাধারন বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করছেন। এর ফলে বাজারে লেনদেন বাড়ার পুর্বাভাস বুঝা যাচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে কিছু কোম্পানির লেনদেন বাড়ছেই।

এর মধ্যে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার লেনদেনের শীর্ষে ছিল সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। এদিন ১২ হাজার ১৫৩ বারে কোম্পানিটির মোট ৩২ লাখ ৫০ হাজার ৭৩টি শেয়ারের লেনদেন হয়। শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের পর গত ৭ জুন ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে একযোগে লেনদেন শুরু হয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজের। ডিএসইতে এ শেয়ারের দর বাড়ে ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ বা ৪ টাকা ৬০ পয়সা।

চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে ওষুধ খাতের কোম্পানিটির নিট মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। সর্বশেষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, জুলাই-মার্চ সময়ে একমির নিট মুনাফা হয়েছে ৭২ কোটি ৪১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, এক বছর আগে যা ছিল ৬৫ কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

আইপিও-পরবর্তী শেয়ার সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৪২ পয়সা, ৩১ মার্চ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৭৩ টাকা ৮৫ পয়সা।

tradeউল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে ওষুধ কোম্পানিটিকে বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় মোট পাঁচ কোটি শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ৪০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

প্রথমে ৫০ শতাংশ শেয়ারের জন্য ৮৫ টাকা ২০ পয়সা দর (কাট-অফ প্রাইস) প্রস্তাব করেন যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। একই দরে মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য বরাদ্দ হয় ১০ শতাংশ বা ৫০ লাখ শেয়ার। বাকি ৪০ শতাংশ বা ২ কোটি শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭৭ টাকায় বিক্রির অনুমোদন দেয় বিএসইসি। চাঁদা গ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর সম্প্রতি কোম্পানি জানায়, সব ক্যাটাগরি মিলিয়ে তাদের চাহিদার ৬ দশমিক ৭১ গুণ আবেদন জমা পড়েছে।

খসড়া প্রসপেক্টাস অনুসারে, শেয়ারবাজার থেকে সংগৃহীত অর্থ তিনটি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহ করবে একমি ল্যাবরেটরিজ। ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর রেজিস্ট্রার টু দ্য ইস্যু হিসেবে রয়েছে প্রাইম ফিন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত একমি ল্যাবরেটরিজ ফার্মাসিউটিক্যাল, হার্বাল, আয়ুর্বেদিক, ভেটেরিনারিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির পাঁচ শতাধিক ওষুধ উত্পাদন করে। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (আইএসও) সনদ পাওয়া একমি ল্যাবরেটরিজের পণ্য অভ্যন্তরীণ বাজারে বিক্রির পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্য আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও রফতানি হয়।

এছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৭ কোম্পানির মোট ১ কোটি ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩৩৯টি শেয়ার ১৫ বার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার দর ৪১ কোটি ৮৮ লাখ ১৯ হাজার টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য পাওয়া যায়।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলো হল:এপেক্স ফুট ওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, গ্রামীন ফোন, হাইডেলবার্গ সিমেন্টে, ইসলামি ব্যাংক, অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজ এবং উসমানিয়া গ্লাস।

ব্লক মার্কেটে এপেক্স ফুট ওয়ারের ৩০ হাজার শেয়ার ১ বার লেনদেন হয়, যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৫ লাখ টাকা। বেক্সিমকো ফার্মার ৫ লাখ শেয়ার ৫ বার লেনদেন হয়, যার বাজার মূল্য ৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। গ্রামীন ফোনের ১ লাখ শেয়ার ২ বার লেনদেন হয়, যার বাজার মূল্য ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। হাইডেবার্গ সিমেন্টের ৫ হাজার শেয়ার ১ বার লেনদেন হয়, যার বাজার মূল্য ২৬ লাখ টাকা।

ইসলামি ব্যাংকের ১ কোটি শেয়ার ১ বার লেনদেন হয়, যার বাজার মূল্য ৩০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজের ৭০ হাজার শেয়ার ৪ বার লেনদেন হয়, যার বাজার মূল্য ২ কোটি ৫৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা এবং উসমানিয়া গ্লাসের ৭২ হাজার ৩৩৯টি শেয়ার ১ বার লেনদেন হয়, যার বাজার মূল্য ৬০ লাখ ৪ হাজার টাকা।