DSEশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে বাজার পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীলতার আভাসে গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭৩ শতাংশ বা ২৪০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। একই সাথে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২৬.১২ পয়েন্ট বা ২.৮৮ শতাংশ। ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ সময়ে ডিএসইতে ৩২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দর কমেছে ১৯ শতাংশ বা ৬১টি’র ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৮ শতাংশ বা ২৭টি’র। ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১২৬.১২ পয়েন্ট বা ২.৮৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫০৭.৫৮ পয়েন্টে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ সূচক ৫৬.৪৪ পয়েন্ট ও ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩১.৯৩ পয়েন্ট বেড়েছে।

গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে ২১.৬৯ শতাংশ বা ৩৫১ কোটি ১০ লাখ টাকার আর্থিক লেনদেন বেড়েছে। এসময়ে ১ হাজার ৯৭০ কোটি ৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় হিসাবে এ লেনদেনের পরিমাণ ৩৯৪ কোটি ২ লাখ টাকা।

মোট লেনদেনের ৯১.৬০ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ০.৫৩ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৬.৯৭ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ০.৯০ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহের লেনদেনে ডিএসই’র মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত বেড়েছে ০.২৯ পয়েন্ট বা ২.০৩ শতাংশ। সপ্তাহের শুরুতে পিই ছিল ১৪.৩২। যা বর্তমানে রয়েছে ১৪.৬১ পয়েন্টে।

এ সময়ে বাজার মূলধন বেড়েছে ২.২৪ শতাংশ। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ১১ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকায়।

সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ইস্যুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মার শেয়ার। এ সময়ে কোম্পানির ৭১ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩.৬৩ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা একমি ল্যাবরেটরিজের লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩.২৭ শতাংশ। ৬২ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- ইসলামী ব্যাংক, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, আমান ফিড, ফার কেমিক্যাল, কেয়া কসমেটিকস, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, ন্যাশনাল ফিড মিল।