acme lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের শেয়ার আজ উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে এক সাথে লেনদেন শুরু করেছ। প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির ১ কোটি ৩১ লাখ ২০ হাজার ৩০৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ার লেনদেন মঙ্গলবার ১৩৫ টাকায় শুরু হয়েছে। তবে লেনদেন শুরুর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিনিয়োগকারীদের ঋণ সুবিধার প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এমন নীতিগত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অনেকে। নিষেধাজ্ঞার এমন তথ্য মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় খুব ভালো হয়েছে। একমি কোম্পানির শেয়ার অনেক লোভের সৃষ্টি করবে। যে কারণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় অনেক বিনিয়োগকারীর পেট বাঁচবে।

acme 1সূত্র জানায়, একমির শেয়ার কিনতে ঋণ সুবিধা না দেওয়ার জন্য স্টক ব্রোকার্স, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এবং পোর্ট ফোলিও ম্যানেজারদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। কোম্পানির লেনদেনের প্রথম ৩০ দিনে এই ঋণ সুবিধা দেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে একমিল্যাব মঙ্গলবার সকালে ১৩৫ টাকায় লেনদেন শুরু করলেও তা দরে রাখতে পারছে না। ইতোমধ্যে বেলা ১১:০৬ মিনিটে ১০ টাকা কমে দর দাঁড়িয়েছে ১২৫ টাকায়। অন্যদিকে সেল প্রেসার বেড়েছে।

সকালে লেনদেন শুরু পরে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা দর বাড়বে। সে প্রতিফলন না থাকায় আরো কমতে শুরু করেছে। তবে ৮৫ টাকা শেয়ারপ্রতি দর থেকে বর্তমান দরের দূরত্ব এখনো অনেক। জানা যায়, আজ ডিএসইতে একমির ১ কোটি ১৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩টি শেয়ার হাতবদল হয়। পক্ষান্তরে সিএসইতে ১৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০৫ টি শেয়ার হাতবদল হয়।

acme 2এদিকে, আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে একমি’র শেয়ার সর্বনিম্ন ১১৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকায় হাতবদল হতে দেখা যায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার ১১৯.৭০ টাকায় হাতবদল হয়। এসময় কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৪০.৪৯ শতাংশ। কারণ, কোম্পানিটির নির্দেশক মূল্য ছিল ৮৫.২০ টাকা।

এছাড়া চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে আজ একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ার সর্বনিম্ন ১১৫.৬০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৯ টাকায় হাতবদল হতে দেখা যায়। এসময় কোম্পানিটির সর্বশেষ শেয়ার দর ছিল ১১৭.৫০ টাকা।

এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৬৭তম সভায় কোম্পানিটিকে ৫ কোটি সাধারণ শেয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওতে ছাড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বা আড়াই কোটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য; ১০ শতাংশ বা ৫০ লাখ শেয়ার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য। যার প্রতিটি শেয়ারের কাট-অফ মূল্য ৮৫ টাকা ২০ পয়সা, বাকি ৪০ শতাংশ বা ২ কোটি শেয়ার সাধারণ বিনিযোগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য।

এই শেয়ারের কাট-অফ মূল্য ১০ শতাংশ কমে বা ৭৭ টাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য প্রস্তাব করা হয়। আইপিও আবেদনের মাধ্যমে কোম্পানিটি ৪০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলন করে। এই টাকা দিয়ে কোম্পানিটি ৩টি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে খরচ করবে।