shahjibazarশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি শাহজীবাজার পাওয়ারের সাবসিডিয়ারিটির বার্ষিক রিভিনিউ বাড়বে ৭৩ কোটি টাকা। এতে কোম্পানির যে আয় হতো তার চেয়ে এখন একটু কমবে। তবুও শাহজীবাজারের ইপিএস বাড়বে। কোম্পানির শীর্ষ এক কর্মকর্তা এসব কথা বলেন।

কোম্পানির ১৮ মাস ধরে মার্জিন সুবিধা বন্ধ রয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকাীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, কমিশন কবে থেকে চালু করবে এটা কমিশন বলতে পারবে। কারণ মার্জিন সুবিধা প্রত্যেকে চায়। তবে এনিয়ে কতা বরার ইখতিয়ার আমাদের নেই। কেননা, এটা নিয়ন্ত্রণ করছে কমিশন।

২০১৪ সালে কোম্পানির শেয়ার দর ৩৫ টাকায় শুরু হয়। এরপরে নভেম্বরে তা ৩৪০ টাকায় অবস্থান নেয়। যে কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা দর বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে কোম্পানির  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ১৯ নভেম্বর থেকে বন্ধ করা হয় মার্জিন ঋণ এবং শুরু হয় স্পট মার্কেটে লেনদেন। তা এখন পর্যন্ত তুলে নেয়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

shajebazarশাহজিবাজার পাওয়ার লিমিটেডের (এসপিসিএল) শেয়ারের মূল্য কারসাজির অভিযোগে প্রাইম ইসলামি সিকিউরিটিজ, পিএফআই সিকিউরিটিজ ও প্রাইম ফিন্যান্স ক্যাপিটালসহ ৯ প্রতিষ্ঠান এবং ৮ ব্যক্তিকে প্রায় ৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিশন যাদের জরিমানা করেছে তার দিতে বাধ্য। আমাদের শাহজিবাজার পাওয়ারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পেট্রম্যাক্স রিফাইনারিকে যে জরিমানা করা হয়েছিল, তা প্রদান করা হয়েছে। সেসময়ে আমাদের ওপর প্রচণ্ড ঝড় বয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আমাদের ১২৩ জন কর্মীর প্রত্যেক বিও হিসার এবং প্রত্যেকের পরিবারের বাবা-মা, আত্মীয় স্বজন সবার তথ্য দিতে হয়েছে। তবে এখন আমরা বেশ ভালো আছি।

কোম্পানির শেয়ার সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের কোন উদ্যোক্তা এখন পর্যন্ত কোন শেয়ার বিক্রি করেনি। এখনো কমিশন যদি কোন বাইন্ডিংস না দেয় তাহলে আবার বোড়তে শুরু করবে। কারণ, ৭৩ কোটি টাকা রেভেনিউ দিয়েও থাকবে।

আগে ইপিএস বেশি হতো, এখন তা না হয়ে কম হলেও বাড়বে। আরো কারণ রয়েছে, কোম্পানির উদ্যোক্তারা ৭৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে বলে তিনি জানান।