প্রথম প্রান্তিকে বস্ত্র খাতের ১৬ কোম্পানির আয় বাড়ছে
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের ৪৪টি কোম্পানির মধ্যে প্রথম প্রান্তিকে ১৬টি কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় বাড়ছে। এসব কোম্পানি মুনাফা করায় তাদের আয়ের পরিমা্ন বাড়ছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত ২০১৬ সালের জানুয়ারি-মার্চ মেয়াদের ৩৩টি কোম্পানির অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে ২৭টি কোম্পানি মুনাফায় ও ৬টি কোম্পানি লোকসানে রয়েছে বলে দেখানো হয়েছে।
মুনাফায় থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৬টির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের তুলনায় বেড়েছে; কমেছে ১১টির। বাকি ৬টির মধ্যে লোকসান বেড়েছে একটির, মুনাফা থেকে লোকসান করেছে ৫টি।
আজ ডিএসইতে বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এই খাতের ৪৪ টি কোম্পানির মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে দর কমেছে মাত্র ৪টির। শেয়ার লেনদেনে বন্ধ একটি কোম্পানি বাদে ৫টি কোম্পানির দরে সমতা লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে কম-বেশি দর বেড়েছে সবগুলো কেম্পানির।
দর বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করছেন অধিকাংশ বিনিয়োগকারী। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। আজ ডিএসইতে আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ লেনদেন কমেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৪৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ২৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা কম। গতকাল এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৩৭৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩১৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫১টির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৪টির শেয়ার দর।
এদিকে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৩৮৮ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৬ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৭০৭ পয়েন্টে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে আসন্ন জাতীয় বাজেটে তৈরি পোশাক খাতের করপোরেট ট্যাক্স, অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানি শুল্কমুক্ত এবং রফতানি খাত হিসেবে খাতকে বুধবার ভ্যাটমুক্ত করার আহ্বান জানায় তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। এরপরে বৃহস্পতিবার পোশাক খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরে হাওয়া লাগে। এমনটাই ধরনা করছেন অনেকে।
বিজিএমইএ পোশাক খাতের করপোরেট টেক্স ৩৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ এবং অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানিতে পাঁচ শতাংশের স্থলে শুল্কমুক্ত করার আহ্বান জানান। এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. নজিবর রহমানসহ বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিজিএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ নাসির, সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু ও এনবিআরের ১০ সদস্যে একটি প্রতিনিধি দল।