সিএমসি কামালের লভ্যাংশ সংক্রান্ত গুজব!
আফজাল হোসেন লাভলু, ঢাকা,মার্চ ৯: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি সিএমসি কামালের দর বাড়া নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। একটি মহল এ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে বাজারে নানা গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে। সামনে সিএমসি কামালের আরো দর বাড়বে বলে সিকিউরিটিজ হাউজগুলোতে গুজব উড়ছে।
সামনে কোম্পানিটের আরো ভাল ইপিএস আসবে বলে এমন গুজব ছড়িয়ে পরেছে বাজারে। আজ সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতে ২৩ টাকায় ছুই ছুই করে। দিনশেষে এ কোম্পানিটি ২২.৬০ টাকা লেনদেন হয়। প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন ২০১৫ সমাপ্ত হিসাব বছরে সিএমসি কামাল শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২.৫০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যার পুরোটাই নগদ। এই কোম্পানিটি ১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে জুন ক্লোজিং কোম্পানিগুলোর আর্থিক বছর। তবে এখন পর্যন্ত অনেক কোম্পানি বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করেনি। বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা না করলেও জুন ক্লোজিং কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণা নিয়ে বেশ জোড়ালোভাবেই শুরু হয়েছে গুজব। কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কতিপয় স্বার্থান্বেসী মহল বিভিন্ন কোম্পানির লভ্যাংশ সংক্রান্ত গুজব ছড়িয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ।
এ নিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পড়েছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে। কারণ, অনেক সময় গুজব সত্য হয় আবার অনেক সময় গুজব গুজবই থাকে। এমতাবস্থায় গুজবে কান না দিয়ে সব তথ্য যাচাই বাছাইপূর্বক সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
একাধিক বিনিয়োগকারীরা মনে করেন, যেসব লোক লভ্যাংশের বিষয়টি আগে থেকে বলে বেড়াচ্ছেন তারা মূলত: ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। তারা লভ্যাংশ বেশি দেবে ঘোষণা দিয়ে কোনো কোম্পানির শেয়ার দর বাড়িয়ে নিজেদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রয় করে দিয়ে মুনাফা করতে। এরপর একই শেয়ারের দর কমে গেলে পুনরায় তা ক্রয় করে আবারো মুনাফা করতে। তবে সবকিছু বিচার বিশ্লেষণপূর্বক সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।